বাংলা ও ঝাড়খন্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ নির্বাচনী পর্যবেক্ষককে সরানোর সিদ্ধান্ত নিল কমিশন। বিএসএফের অবসরপ্রাপ্ত ডিজি কে কে শর্মাকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ও সর্বোপরি ভোটের বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করেছিল কমিশন৷তারপরেই ওই অফিসারের আরএসএস যোগ নিয়ে সরব হয় তৃণমূল। কমিশনে অভিযোগও জানানো হয়। সেই অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়েই কে কে শর্মাকে এরাজ্যের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন৷
কালীঘাটে দলের ইস্তাহার প্রকাশ অনুষ্ঠানেই কে কে শর্মার আরএসএস যোগ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রশ্ন, ‘একজন আরএসএসের প্রোগ্রামে গেলেন আর পর্যবেক্ষক হয়ে গেলেন! এটা কী করে হয়? মালদহেও একজনকে পাঠানো হয়েছে। সব ফোর্সকে এখানে পাঠানো হচ্ছে আর তারাই বিজেপির হয়ে কথা বলছে। হি ইজ আরএসএস ম্যান’। বিষয়টিকে যে তৃণমূল সহজভাবে মেনে নেবে না, তা স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে মমতা বলেন, ‘একজন খাকি পোশাক পরে আরএসএসের প্রোগ্রামে চলে গেলেন। খাকি পোশাককে আমি সম্মান করি। নির্বাচন কমিশনকে বলব, এটা দেখুন। আমরা চিঠি লিখেছি’। সেই অনুযায়ী চিঠির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনে কে কে শর্মার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায় তৃণমূল৷
এরপরেই নড়েচড়ে বসে নির্বাচন কমিশন। তৃণমূল এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলির কে কে শর্মাকে নিয়ে তোলা আপত্তি খতিয়ে দেখে নির্বাচন কমিশন৷ তারপরই বাংলা ও ঝাড়খণ্ডের বিশেষ নির্বাচনী পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ কে কে শর্মার পরিবর্তে কাকে বিশেষ নির্বাচনী পর্যবেক্ষক হিসাবে নিয়োগ করা হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের আলোচনাধীন৷
