সকালে রামপুরহাট-১ ব্লকের দখলবাটি অঞ্চলের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে পথসভা করতে আসেন শতাব্দী রায়। সঙ্গে ছিলেন কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা সহসভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি, ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেন। রোদ উপেক্ষা করে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রামপুরহাট ১ ব্লকের ৭–৮টি গ্রাম চষে বেড়ালেন তৃণমূলের এই তারকা প্রার্থী। বক্তব্য পেশ করলেন বেশ কয়েকটি প্রচার সভায়। প্রতিটি সভায় ভিড় উপচে পড়ে।কোথাও টোটো চালালেন। কোথাও আবার আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গে নাচের তালে পা মেলালেন। বুধবার রামপুরহাটের আশেপাশের বেশ কিছু গ্রামে এভাবেই নিজের নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে মানুষের মন জয় করে নিলেন শতাব্দী।
সভা শেষে প্রচারের জন্য আনা টোটোয় তিনি চালকের আসনে গিয়ে বসেন। ডান পা ব্রেকের উপর, এক হাতে টোটোর হ্যান্ডেল, রাস্তার ধারে থাকা মানুষদের উদ্দেশে অন্য হাত নাড়াতে থাকেন। প্রথমে গতি কম থাকলেও পরে পাকা চালকের মতো সাবলীলভাবে টোটো চালান। পিছনে তখন দলীয় কর্মী সমর্থকরা দৌড়াচ্ছেন। শতাব্দী রায় টোটো চালাচ্ছেন, এই খবর চাউর হতেই রাস্তার দু’ধারে মহিলাদের ঢল নামে। টোটো দাঁড়াতেই মহিলার তাঁকে ঘিরে ধরেন। প্রার্থীর সঙ্গে সকলে হাত মেলান। হাসি মুখে ফের টোটো চালিয়ে এগিয়ে চলেন তিনি। এভাবেই এলাকায় প্রচার সারেন শতাব্দী।
দিঘিরপাড় থেকে শতাব্দী যান তারাপীঠের কাছে খরুন গ্রামে। সেখানে একটি প্রচারসভায় বক্তব্য পেশ করে তিনি যান ঝাড়খন্ড লাগোয়া নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আদিবাসী অধ্যুষিত ভাটিনা গ্রামে। ভাটিনায় সিপিএম, কংগ্রেস ও বিজেপি ছেড়ে এলাকার শতাধিক মানুষ এদিন তৃণমূলে যোগ দেন। শতাব্দী তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন। ভাটিনা থেকে শতাব্দী আসেন কুসুম্বা গ্রামে। এখানে প্রচারসভায় বক্তব্য পেশ করে তিনি আয়াস ও প্রতাপপুর গ্রামে আরও ২টি প্রচারসভায় অংশ নেন।
ভাটিনা গ্রামে শতাব্দীকে অভ্যর্থনা জানাতে নিজেদের প্রথায় নাচগানের আয়োজন করেন স্থানীয় আদিবাসীরা। নিজেদের চিরাচরিত পোশাকে সুসজ্জিত স্থানীয় মহিলারা আদিবাসী নৃত্যের তালে তালে শতাব্দীকে অভ্যর্থনা জানান। শতাব্দীও নৃত্যরত আদিবাসী মহিলাদের মাঝে এসে ধামসা–মাদলের তালে তালে আদিবাসী নৃত্যে পা মেলান।