ভোট আসতেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সামনে রেখে বাংলায় দাদাগিরি শুরু করে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। এর আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আসানসোলের বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় দলের থিম সংয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটূক্তি করে এবং যুব তৃণমূলের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্রমাগত ব্যক্তিগত আক্রমণ করে নির্বাচন বিধ ভঙ্গ করেছেন। আর এবার কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বুক লক্ষ্য করে গুলি চালানোর নিদান দিলেন বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসু। মঙ্গলবার বসিরহাটের ভ্যাবলা হাই স্কুল মাঠের সভায় তিনি বলেন, ‘ভোটের দিন বুথ দখল করতে গেলে, বুকে গুলি চালান। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বলব, পা লক্ষ্য করে নয়, বুকে গুলি চালান।’
গতকাল কোনও রাখঢাক না রেখেই সায়ন্তন স্পষ্ট বলে দেন, ‘এবার অন্যরকম ভোট হবে। রাজ্য সরকারের পুলিশকে থানায় আটকে রেখে নির্বাচনে ‘রাজ’ করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী!’ শুধু তাই নয়, ওই সভাতেই বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী অঞ্চলের মা-বোনেদের দা-বঁটি নিয়ে তৈরি থাকার পরামর্শও দেন। সায়ন্তনের নিদান, ‘যারা হুমকি দিতে আসবে সেই সব গুন্ডা-মস্তানরা একটা মারলে আপনারা দশটা মারবেন। পারলে দু’চারটেকে সাবাড় করে দেবেন। সিআরপিএফকে বলা হয়েছে বুথ দখল করতে এলে বুক লক্ষ্য করে গুলি চালাতে। গুলি যেন পায়ে না লাগে।’
মঙ্গলবার সকালে সায়ন্তন হাসনাবাদের মুরারিশা থেকে মোটরবাইক মিছিলে যোগ দেন। টাকি ঘুরে বসিরহাটের সংগ্রামপুর কালীমন্দিরে পুজো দেন। বিকেলে তিনি ভ্যাবলা স্কুল মাঠে নির্বাচনী সভা করেন। সেই সভায় যদিও ভিড় তেমন হয়নি। মাঠের অর্ধেকের বেশি ছিল ফাঁকা। বিজেপি প্রার্থী ছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, বসিরহাট সাংগঠনিক সভাপতি গণেশ ঘোষ প্রমুখ। সকলের সামনেই সায়ন্তন বলেন, ‘বিজেপি কর্মকর্তাদের বলেছি, রাজ্য পুলিশকে থানার বাইরে বেরোতে দেব না। ভোটের দিন পুলিশ মাঠে প্যারেড করবে। নির্বাচনী এলাকা জুড়ে বিএসএফ, সিআরপিএফ রাজ করবে।’
এখানেই শেষ নয়। সন্দেশখালির ব্লক তৃণমূল সভাপতি শেখ শাহজাহানের নাম করেও বিজেপি প্রার্থী হুমকির সুরে বলেন, ‘নির্বাচনের দিন বুথ দখল করতে এলে শাহজাহান হোক আর ঔরঙ্গজেব হোক সিআরপিএফকে বলে দেব গুলি যেন বুক লক্ষ্য করে যায়।’ সায়ন্তনের হুঁশিয়ারি, ‘যারা বেচাল করবে, বাহিনীকে তালিকা দেব, ঠান্ডা করে দেবে।’