কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে গেরুয়া আবির উড়িয়ে, ঢাক-ঢোল পিটিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে গেলেও আজ, মঙ্গলবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে জলপাইগুড়ির বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায়ের ভোটে দাঁড়ানো নিয়ে তৈরি হয়েছে চূড়ান্ত নাটকীয়তা। জানা গেছে, বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায় পেশায় সরকারি চিকিৎসক। আর তা নিয়েই তৈরি হয়েছে জটিলতা। কারণ সরকারি চিকিৎসক হিসাবে ভোটে লড়ার নিয়ম নেই। তবে কি জয়ন্ত রায়ের বদলে অন্য কোনও প্রার্থী দেবে বিজেপি? এবার এই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, আগে নিয়ম ছিল, রাজনৈতিক দলের প্রার্থী যদি সরকারি চাকুরিজীবী হন, তাহলে ভোটে নির্বাচিত হওয়ার পর তাঁকে পদত্যাগপত্র জমা দিতে হবে। কিন্তু নতুন নিয়ম অনুযায়ী, লোকসভা, বিধানভায় কোনও রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হলে মনোনয়ন দাখিলের আগেই সরকারি চাকুরিতে পদত্যাগপত্র জমা দিতে হবে। তা না হলে তাঁর মনোনয়ন বাতিল হয়ে যাবে। সরকারি হাসপাতালের চিকিৎক জয়ন্ত রায়ের এক্ষেত্রে বিষয়টি বুঝতে ভুল হয়েছিল।
সূত্রের খবর, তাঁর পদত্যাগপত্র জমা দিতে দেরি হয়। কমিউনিটি মেডিসিনের চিকিৎসক জয়ন্ত গত শনিবারই ইস্তফা দেন। আর সেই ইস্তফা এখনও মঞ্জুর হয়নি। সাধারণ ভাবে সেই ইস্তফা মঞ্জুর হতে সময়ও লাগার কথা। ফলে পদত্যাগপত্র জমা দিলেও রাজ্য সরকারের তরফে এখনও কোনও শংসাপত্র দেওয়া হয়নি। কিন্তু বুধবার স্ক্রুটিনির সময়ই জয়ন্তবাবুকে ইস্তফা মঞ্জুর হওয়ার নথি জমা দিতে হবে। না হলে মনোনয়ন বাতিল হয়ে যাবে। আবার, মঙ্গলবারই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন।
ফলে জয়ন্ত রায়ের মনোনয়ন জমা হবে কিনা না প্রার্থী পদ থাকবে কিনা, তা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এদিন জলপাইগুড়িতে জয়ন্ত রায়ের পাশাপাশি মনোনয়নপত্র জমা দেন আরও দুজন। তাঁদের একজন স্থানীয় বাসিন্দা, অপরজন প্রাক্তন কর্নেল। বিজেপি জানিয়েছে, যদি স্কুটিনির পর জয়ন্ত রায়ের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হয়, তাহলে তিনিই প্রার্থী হবেন। আর তা না হলে অপর দুজনের মধ্যে একজনকে সমর্থন করবে বিজেপি।
অন্যদিকে, প্রশাসনে সূত্রের খবর, প্রথমে জয়ন্তবাবুর ইস্তফা রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরকে মঞ্জুর করতে হবে। তার পরে কেন্দ্রীয় ভিজিলেন্স দফতরে সেই নথি পৌঁছবে। ভিজিলেন্স দফতর ছাড়পত্র দিলে সেই কাগজ পৌঁছবে নবান্নে। তার পরে ইস্তফা মঞ্জুরির চূড়ান্ত নথি হাতে পাবেন জয়ন্ত রায়।