আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানারকমের ব্যঙ্গ, বিদ্রুপ করা পোস্ট এবং নানা ধরনের প্রচার নিয়ে বেশ চিন্তিত কমিশন। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় কি ধরনের প্রচার বা কি ধরনের পোস্ট হচ্ছে তার উপর নজরদারি চালাতে নোডাল অফিসার নিয়োগ করল নির্বাচন কমিশন। দিল্লীতে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের দফতরে তিনজন নোডাল অফিসার এবং কলকাতায় কমিশনের দফতরে একজন অফিসারকে নিয়োগ করা হল। এই নোডাল অফিসারদের কাজ হবে, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ট্যুইটার, ইনস্টাগ্রামে কী ধরনের প্রচার হচ্ছে, তার উপর নজরদারি করা। যদি কোনও পোস্ট আপত্তিজনক হয়, তাহলে তা ডিলিট করে দেওয়ার জন্য ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ-সহ সোশ্যাল মিডিয়াগুলিকে বলা হবে। পাশাপাশি ওই সব সংস্থাতে নোডাল অফিসার নিয়োগ করবে কমিশন। তাঁদের সঙ্গে কমিশনের নিযুক্ত অফিসারেরা প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখবেন।
গত সপ্তাহে দিল্লীতে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কর্তারা সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন সংস্থার দেশের প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন। তারপর ঠিক হয়, উভয়পক্ষই নোডাল অফিসার নিয়োগ করে ওই ধরনের প্রচার বন্ধ করতে উদ্যোগী হবে। কমিশনের এক কর্তা জানিয়েছেন, “কোনও পোস্ট নিয়ে অভিযোগ থাকলে তা খতিয়ে দেখবেন নোডাল অফিসার। তা পাঠিয়ে দেওয়া হবে দিল্লীতে। ইতিমধ্যে তৃণমূল সংসদ সদস্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে এক আইনজীবী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট নিয়ে অভিযোগ করেছেন। তৃণমূলের দুই তারকা প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী ও নুসরত জাহান-এর নানা ধরনের আপত্তিজনক ছবি পোস্ট করা হয়, বিভিন্ন ট্রোল করা হয় ফেসবুকে। এই ধরনের পোস্ট করার জন্য ইতিমধ্যেই দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একইরকমভাবে আসানসোলের তৃণমূল প্রার্থী মুনমুন সেনের একটি সাংবাদিক বৈঠক নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট চলছে। এই সব পোস্ট নিয়ে অভিযোগে জেরবার নির্বাচন কমিশন। উল্লেখ্য, গতকাল পর্যন্ত সি-ভিজিল অ্যাপে ১৪৬৪টি অভিযোগ জমা পড়েছে।