আর্থিক তছরূপে অভিযুক্ত, দেশ থেকে পলাতক ব্যবসায়ী বিজয় মালিয়া এবার জেট এয়ারওয়েজকে বাঁচাতে আসরে নামতে চাইছেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে পাঁচটায় টুইট করে কর্ণাটক হাইকোর্টের কাছে অনুরোধ করেছেন, তাঁর স্থাবর সম্পত্তি নিয়ে মিটিয়ে দেওয়া হোক ব্যাঙ্ক ঋণ। বাকি টাকা দেওয়া হোক জেট এয়ারওয়েজকে। এই নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে সর্বত্র। যিনি নিজেই ঋণ না শোধ করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন, তিনি কীভাবে এমন প্রস্তাব দিলেন। নেটিজেনদের অনেকে আবার এ নিয়ে ঠাট্টা করতেও ছাড়েননি। বিদ্রুপ করে লিকার টাইকুন সম্পর্কে লেখা হয়েছে, “ভদ্রলোক এখন সমাজ সংস্কারক হতে চাইছেন!”
কিংফিশার এয়ারলাইন্সের জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকার ঋণ নিয়েছিলেন বিজয় মালিয়া। যা তিনি শোধ না করেই তিনি পালিয়ে গিয়েছিলেন ভারত ছেড়ে। দেশ ছেড়ে পালিয়ে তিনি আশ্রয় নিয়েছেন ব্রিটেনে। কিন্তু সম্প্রতি ব্রিটেনের আদালত তাঁকে ভারতে প্রত্যর্পণের নির্দেশ দেয়। এখন সেই প্রক্রিয়াই চলছে। অনেকে মনে করছেন, ঠেলায় পড়েই এখন বিনয় দেখাচ্ছেন বিজয় মালিয়া। প্রসঙ্গত, জেট এয়ারওয়েজের অবস্থা খুবই সঙ্গীন। ঋণের দায়ের জর্জরিত। একাধিক ডোমেস্টিক রুটের সঙ্গে ১৩টি আন্তর্জাতিক রুটে বিমান পরিষেবা বন্ধ করে দিতে হয়েছে। পদত্যাগ করেছেন সংস্থার কর্ণাধার নরেশ গোয়েল।
গত কয়েক বছরে একাধিকবার শিরোনামে এসেছেন তিনি। ব্রিটেনের তাঁর বিলাসবহুল জীবনযাপনও কারও অজানা নয়। তবে তিনি ট্যুইটারে নিজের হতাশাও ব্যক্ত করেছেন। তাঁর কথায়, ”জেট এয়ারওয়েজকে বাঁচাতে যেভাবে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি চেষ্টা করছে, তেমনটা কিংফিশার এয়ারলাইন্সের ব্যাপারে করলে ভালো হত”। বিজয় মালিয়ার দাবি, কিংফিশারকে বাঁচাতে ৪ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু কোনও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক সেই সময় এগিয়ে আসেনি।