মায়ামি ওপেনের তৃতীয় রাউন্ডে উঠল বিতর্কের ঝড়। বিশ্বের একনম্বর নোভাক জকোভিচ জড়িয়ে পড়লেন নতুন বিতর্কে। স্টেডিয়ামের আলো কম থাকায় চটে গিয়ে এক সময় আম্পায়ারকে এক সময় হুমকি দেন, ‘আমি আর খেলব না।’ তবে নোভাকের এই হুমকি খুব একটা ভুল নয় কারণ ম্যাচ চলার জন্যে পর্যাপ্ত আলো সত্যিই ওই স্টেডিয়ামে ছিল না। যদিও নোভাক ফ্রেডরিকো ডেলবনিসকে ৭-৫, ৪-৬, ৬-১ হারিয়েছেন।
এর আগে ছ’বার মায়ামি ওপেনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন সার্বিয়ান তারকা। সপ্তমবার খেতাব জয়ের জন্য এগোচ্ছেন তিনি। চতুর্থ রাউন্ডে তাঁর সামনে রবের্তো বউতিস্তা আগুত। ম্যাচের পর এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে জোকার বলেন, ‘তখন তৃতীয় সেট শুরু হতে চলেছে। তখন ম্যাচ যে কোনও দিকেই ঘুরে যেতে পারত। আমার বল দেখতে সমস্যা হচ্ছিল।’ সঙ্গে সংযোজন, ‘টেনিসের জন্য এটা অদ্ভুত একটা স্টেডিয়াম। আগে যে সব জায়গায় খেলেছি, তার সবগুলোর থেকে এটা আলাদা। এটা টেনিসের স্টেডিয়াম হতে পারে না। বরং, এখানে মায়ামির ডলফিনদের খেলা দেখানো যেতে পারে।’
জকোভিচ অভিযোগ করেছিলেন, মায়ামির ওই স্টেডিয়ামে আলো কম ছিল। দ্বিতীয় সেটে তখন তিনি ৩-১ এগিয়ে। সে সময় পর পর দু’টো সার্ভিস ড্রপ করেন। তার পরই খেপে যান। রেগেমেগে জোকার পকেট থেকে স্পেয়ার বল ছুড়ে পিছন দিকে ফেলে দেন। তার পর র্যাকেট ঠোকেন কোর্টে। ম্যাচ অফিশিয়ালদের বলেন, সব আলো জ্বেলে দিতে, না হলে তিনি খেলবেন না।
এই সময় হস্তক্ষেপ করেন আম্পায়ার। তিনি বলেন, ‘তুমি বলা মাত্রই আমি ম্যাচ অফিশিয়ালদের নির্দেশ দিয়েছি সব আলো জ্বেলে দেওয়ার জন্য।’ তখন জোকার প্রশ্ন করেন, ‘ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে থেকে তা জ্বালানো হয়নি কেন?’ তার উত্তরে আম্পায়ার বলেন, ‘সেটা আমার সিদ্ধান্ত ছিল না। আমি এখন বলেছি যা করার করতে।’ তখন জকোভিচ প্রশ্ন করেন, ‘তা হলে এখন কী করব?’ আম্পায়ার উত্তর দেন, ‘আলো এখনই জ্বালিয়ে দেওয়া হবে। একটু অপেক্ষা করো।’ তখন জোকার রেগে গিয়ে বলেন, ‘এখনও আলো জ্বলানো হয়নি। আমি অন্ধকারের মধ্যে খেলব না।’ এই কথোপকথন চলার সময়ই স্টেডিয়ামের সব আলো জ্বেলে দেওয়া হয়। পুরোপুরি উজ্জ্বল হয়ে উঠতে কয়েক সেকেন্ড সময় লাগে। জকোভিচও খেলা বাতিল করেননি।