সম্প্রতি খড়্গপুরে এসে দিলীপ ঘোষকে পরাজিত করার ডাক দিয়ে গিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। তিনি এরজন্য দলের স্থানীয় চার নেতা তথা শহর সভাপতি রবিশঙ্কর পাণ্ডে, পুরসভার চেয়ারম্যান প্রদীপ সরকার এবং দুই কাউন্সিলার দেবাশিস চৌধুরী ও জওহরলাল পালকে দায়িত্ব দিয়ে যান। এবার লোকসভা ভোটে মেদিনীপুর কেন্দ্রের প্রার্থী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিধানসভা কেন্দ্র খড়্গপুর শহরে তাঁকে হারাতে জেলার প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষের ‘দুর্ব্যবহার’কেই ইস্যু করছে তৃণমূল।
নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারতী ঘোষের প্রসঙ্গ টেনে এনে খড়্গপুর শহরের বাসিন্দাদের তাঁদের পূর্ব অভিজ্ঞতা স্মরণ করতে বলা হয়। দেবাশিসবাবু তাঁর বক্তব্যে ভারতী ঘোষকে ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ বলে অভিহিত করে বলেন, এরকম একজনকে যে দল প্রার্থী করতে পারে, সেই দলটার ভবিষ্যত কী, তা সহজেই অনুমান করা যায়। তাঁর সম্পর্কে আপনাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা আছে। ওই দলটার বিরুদ্ধে এককাট্টা হতে হবে।
তিনি বলেন, ওদের প্রার্থী দিলীপ ঘোষও একসময় এই ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে সরব ছিলেন। প্রতি সভা সমিতিতে তাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আনতেন। এমনকী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকেও তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছিল। আমরা সেই সব কথা তুলে ধরে এখন দিলীপবাবু কী বলবেন, সেই প্রশ্ন তুলব। আমরা জানি, এই প্রশ্নে খড়্গপুরের মানুষ বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটের বাক্সে প্রতিবাদ করবেন।
রবিবাবু বলেন, স্থানীয় অনেক ইস্যু আছে। বিশেষ করে রেলকে কেন্দ্র করে এই শহর। কেন্দ্রে নিজেদের সরকার থাকা সত্ত্বেও বিধায়ক রেল এলাকার কোনও উন্নয়ন করতে পারেননি। প্রদীপবাবু বলেন, আমাদের পুরবোর্ড অনেক উন্নয়ন করেছে। সেই অর্থে বিধায়ক এই শহরে কোনও উন্নয়নমূলক কাজ করেননি। রেলবস্তিগুলির চেহারা দেখলেই তা সহজে বোঝা যাবে। আমরা স্থানীয় ইস্যু হিসেবে সেই সব তুলে ধরব।