বিরোধীদের পর এবার ইভিএম-এর স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলল খোদ সুপ্রিম কোর্টও। সমালোচনার মুখে পড়তে হল নির্বাচন কমিশনকেও। ফলাফলে স্বচ্ছতা আনতে কমিশন ইভিএমের সঙ্গে ভিভিপ্যাট যন্ত্রের তুলনা করে থাকে। কারচুপি নিয়ে এত প্রশ্ন ওঠা সত্ত্বেও কমিশন কেন দুই মেশিনের ফলাফলের তুলনার সংখ্যা বাড়ায়নি, তা আগামী সপ্তাহের শুনানিতে জানানোর নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
বিরোধীরা সুপ্রিম কোর্টে দাবি জানায়, স্বচ্ছতার প্রশ্নে অন্তত পঞ্চাশ শতাংশ কেন্দ্রের ইভিএম ও ভিভিপ্যাট-এর ফল তুলনা করে দেখুক কমিশন। আজ সেই মামলার শুনানিতে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশে প্রায় ৯০ কোটি ভোটার। তার অর্ধেক তো দূরে থাক, ৩০ শতাংশ ভোটারের ফলাফল তুলনা করে দেখাটাই বিরাট সময় সাপেক্ষ বিষয়। এতে প্রচুর লোকেরও প্রয়োজন হবে। সেই যুক্তি মানতে চাননি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। তিনি আজ বলেন, আদালত চায় ইভিএম ও ভিভিপ্যাটের মধ্যে ফলাফলের তুলনা আরও বাড়ানো হোক। বর্তমানে কেবল একটি কেন্দ্রে তুলনা হয়ে থাকে। তারা নিজেরাই সেই সংখ্যা বাড়াতে পারে কি না, তাই কমিশনের প্রতিনিধিদের কাছে জানতে চান প্রধান বিচারপতি।
উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি একতরফা জেতার পরেই ইভিএম-এ কারচুপির অভিযোগে সরব হন বিরোধীরা। যদিও শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশন দাবি করে আসছে, ইভিএম-এ কারচুপি অসম্ভব। দাবি প্রমাণে প্রতিটি বুথে ‘ভোটার ভেরিয়বেল পেপার অডিট ট্রেল’ বা ভিভিপ্যাট যন্ত্র ব্যবহার করা শুরু করছে কমিশন। নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য, কোনও ভোটার ইভিএমে কাকে ভোট দিচ্ছেন তা ৭ সেকেন্ডের জন্য ইভিএমের সঙ্গে লাগানো ওই ভিভিপ্যাট যন্ত্রে ফুট ওঠে। তা দেখে নিজের ভোট কোথায় পড়েছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেন কোনও ভোটার। একই সঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিটি বিধানসভার যে কোনও একটি ভোটকেন্দ্র ও লোকসভার ক্ষেত্রে সেই কেন্দ্রের অন্তর্গত প্রতিটি বিধানসভায় একটি করে বুথের ইভিএম ও ভিভিপ্যাট যন্ত্রের ফলাফল তুলনা করে দেখে থাকে কমিশন।
