এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বিদ্রুপ করে তিনি বলেছিলেন, ‘শুধু ভাল বক্তা হলেই ভোটে জেতা যায় না। বিদ্বান হলেই মানুষ ভোট দেয় না। যিনি ভাবেন সব জানেন, তিনি ভুল। মেকি বিপণন থেকে মানুষের দূরে থাকা উচিত।’ আর ঠিক ভোটের মুখে আবারও বেসুরো সুর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গাডকরির গলায়। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানে বিমানহানার ঘটনাটি নির্বাচনের সঙ্গে জড়ানো অনুচিত। এটাকে নির্বাচনী ইস্যু করা উচিত নয়।’
কিন্তু শাসক দল অর্থাৎ তাঁর দল বিজেপি যে কৃতিত্ব দাবি করছে? এই প্রশ্নের সরাসরি কোনও উত্তর অবশ্য তিনি দেননি। বরং বিরোধীদের ব্যাপারেই তিনি বলেন। তাঁর বক্তব্য, নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়। আমাদের জওয়ানদের শহীদ হওয়া নিয়ে ভারতে যদি কেউ প্রশ্ন তোলে, তবে সেটা জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে যায়।
উল্লেখ্য, এর আগে গাডকরির একাধিক মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তবে সাক্ষাৎকারে গাডকরি দাবি করেন, তিনি আসলে সেরকম কিছু বলেননি। তাঁর কথা বিকৃত করা হয়েছে। অন্যদিকে, জল্পনা হচ্ছিল, এবার ভোটের পর বিজেপির অন্য দলের সমর্থন নেওয়ার দরকার পড়লে গাডকরিকে প্রধানমন্ত্রী পদে তুলে ধরা হতে পারে। জানা গেছে, এমন একটি পরিকল্পনা নাকি সত্যিই রয়েছে আরএসএসের। তবে গাডকরি জোর গলায় তা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমার তেমন উচ্চাশা নেই। আরএসএসেরও তেমন পরিকল্পনা নেই।’
প্রসঙ্গত, মুম্বইয়ের এক অনুষ্ঠানে গাডকরি নাম না করে মোদীর সমালোচনায় বলেছিলেন, ‘স্বপ্ন দেখাতে নেতারা ভালবাসেন। স্বপ্ন দেখানোর নেতাকে জনতারও ভাল লাগে। কিন্তু সেই স্বপ্নপূরণ না হলে জনতা তাঁকে পিটুনিও দেয়। এ জন্য সেই স্বপ্নই দেখানো উচিত, যেটি পূরণ হতে পারে। আমি স্বপ্ন দেখানোর দলে নেই। আমি যা বলি, ডঙ্কা বাজিয়ে তা একশো শতাংশ পূর্ণ করি।’ ভোটের আগে ওই সাক্ষাৎকারে গাডকরি কোনও স্বপ্ন দেখাননি। ভোট নিয়ে মোদী-শাহের মতো উত্তেজনাও দেখা যায়নি তাঁর মধ্যে।