আজ দিল্লীতে দিল্লী ক্যাপিট্যালস মুখোমুখি হচ্ছে চেন্নাই সুপার কিংসের। তার আগে মেন্টর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও কোচ রিকি পন্টিংয়ের মাথায় অবশ্যই থাকবে ধোনির স্পিন ব্রিগেড। প্রথম ম্যাচে সচিন তেন্ডুলকরকে হারিয়েছেন। এবার দাদার সামনে চ্যালেঞ্জ নিয়ে হাজির মাহি। চেন্নাইয়ের স্পিন সহায়ক উইকেটে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিলেন হরভজন সিং, ইমরান তাহির ওসুরেশ রায়নারাও। তবে এই মুহূর্তে রাজধানীর আইপিএল টিমে সবচেয়ে বেশি হইচই তো ঋষভ পন্থকে নিয়েই। সারা বিশ্বে ডেথ বোলিংয়ে এক নম্বর যাঁকে ধরা হয়, সেই জসপ্রীত বুমরাকেও হেলায় বাউন্ডারির বাইরে ফেলেছেন পন্থ। ২৭ বলে ৭৮ নট আউটের ইনিংসে ছিল সাতটা চার, সাতটা ছক্কা।
ফিরোজ শাহ কোটলার উইকেটের বৈশিষ্ট্য, খেলা যত এগোয় উইকেট তত স্লো হয়। সেই কথা মাথায় রেখেই নিশ্চয়ই টিম সাজাবেন ফ্লেমিং-ধোনিরা। তবে দিল্লীর সুবিধা, রাবাডার ফর্ম। প্রথম ম্যাচে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে চার ওভারে মাত্র ২৩ রান খরচ করেছেন। যুবরাজ ও বেন কাটিংয়ের উইকেটও নিয়েছেন। পুরো দিল্লী টিমকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন কিউয়ি প্রাক্তন অধিনায়ক। ফ্লেমিংয়ের কথায়, “এই টুর্নামেন্টে অনেক প্লেয়ারকে গুরুত্ব দিতে হবে। তার মধ্যে অবশ্যই পন্থ একজন। কিন্তু ওদের টিমে আরও প্লেয়ার আছে। তাই খেয়াল রাখতে হবে, শুধু ওকে নিয়েই যেন আমরা বেশি প্ল্যানিং না করে ফেলি। তবে এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই, ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম সেরা প্রতিভা পন্থ”।
রবিবার মুম্বইকে উড়িয়ে দেওয়ার পিছনে পন্থ ছাড়াও অবদান রেখেছিলেন কলিন ইনগ্রাম, শিখর ধাওয়ান, কাগিসো রাবাডারা। ফ্লেমিংয়ের মন্তব্য, “দিল্লীর কিন্তু ধাওয়ান, ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আয়ার আছে। ওদের দুর্বলতাটা খুঁজে বের করতে হবে। আমাদের নিজেদের ক্ষমতার উপর ভরসা রাখতে হবে”। অন্যদিকে ধোনি সরাসরি বলেই দিয়েছেন, “হরভজনকে সব ম্যাচে খেলানো হবে না”। তবে দিল্লী টিমে যে রকম বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যানের ছড়াছড়ি, সেখানে ভাজ্জিকে না খেলিয়ে কি রাখা যাবে! হরভজন সম্পর্কে ফ্লেমিংয়ের মত, “প্রথম ম্যাচে ও দুর্দান্ত ছিল। অভিজ্ঞতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। দিল্লী টিমে অনেক বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান আছে। আরসিবি ম্যাচের আগেও যা নিয়ে টিম মিটিংয়ে আলোচনা হয়েছিল। আমরা এই ম্যাচেও সেটা নিয়ে ভাবব”।