গোপালনগর থানা এলাকায় তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলা এবং মারধরের অভিযোগে বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েতের এক সদস্যকে গ্রেফতার করল পুলিশ। অভিযুক্ত বিজেপি নেতার নাম সুভাষ মুন্ডা। বনগাঁ ব্লকের আকাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গরিবপুর গ্রামের বিজেপি–র নির্বাচিত গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সুভাষ মুন্ডাকে রবিবার বনগাঁ আদালতে তোলা হয়। এই ঘটনা সম্পর্কে বনগাঁর তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের অভিযোগ, “বিজেপি ভোটের আগে শান্ত এলাকাকে পরিকল্পিতভাবে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। শুধু এই নয়, নিজেদের অন্যায় ঢাকতে পাল্টা অভিযোগ করেছে পুলিশের কাছে”।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দোলের দিন আকাইপুরে মুন্ডা সম্প্রদায়ের মানুষ নিজেদের মধ্যে রং খেলায় মেতে ওঠেন। সেই সময় কয়েকটি পরিবারের মধ্যে ঝামেলা হলে পরে তা বড় আকার নেয়। খবর পেয়ে সেখানে হাজির হন বিজেপি নেতা সুভাষ মুন্ডা এবং এসে কোনো কথা না শুনে তৃণমূলের কর্মীদের উপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। মারধর করে এবং মহিলাদের সঙ্গে অশ্লীল আচরণ করেন। এই ঘটনায় মহিলা–সহ কয়েকজন তৃণমূলকর্মী আহত হন। তাঁদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আক্রান্তরা বিজেপি নেতা সুভাষ মুন্ডার নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। শনিবার রাতে পুলিশ সুভাষ মুন্ডাকে গ্রেফতার করে। রবিবার তাঁকে আদালতে তোলা হলে, নিজের দোষ ঢাকতে তিনি দাবি করেন, তাঁকে নাকি মিথ্যে অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।