বিশ্বকাপে চার নম্বর জায়গায় জন্য এই রবিবার মূলত লড়াই ছিল তিন জনের। হায়দরাবাদের বিজয় শঙ্কর ও কলকাতার ক্যাপ্টেন দীনেশ কার্তিক সহ পন্থের। কার্তিক (২) ব্যর্থ। শঙ্কর ২৪ বলে ৪০ নট আউট করেছেন। বাকি দু’জনকে ছাপিয়ে গেলেন পন্থ। ২৭ বলে ৭৮ নট আউটের পন্থ-বিস্ফোরণ দেখল মুম্বই। রোহিতের টিমের বিরুদ্ধে ২১৩-৬ তোলে দিল্লি। এই পরিমাণ রানের বোঝা নিয়ে মুম্বই খেলতে নেমে মাত্র ১৭৬ রানেই ম্যাচে দাঁড়ি টেনে দেয়।
গতকালের ম্যাচে মুম্বইকে সেইভাবে খুঁজেই পাওয়া গেল না। প্রথম সারির সব ব্যাটসম্যানই ব্যর্থ। রোহিত (১৪), হার্দিক পান্ডিয়া (৩২), কুইন্টন ডি কক (২৭), কাইরন পোলার্ডরা ভালো শুরু করেও দ্রুত ফিরে যান। কিছুটা লড়েন যুবরাজ সিং। ৩৫ বলে ৫৩ করেন। শেষ পর্যন্ত ৩৭ রানে হেরে যায় মুম্বই (১৭৬)। ইশান্ত শর্মা, কাগিসো রাবাডা ২টি করে উইকেট নেন। একেই ফর্ম ভালো নেই তার ওপর মুম্বইয়ের চিন্তা বাড়িয়ে দিল বুমরার চোট। শেষ ওভারের শেষ বল করার পর ফিল্ডিং করতে গিয়ে বাঁ কাঁধে চোট পান তিনি।
দিনটা অবশ্য ছিল পন্থের। আইপিএলের প্রথম ম্যাচে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ফের তাঁর ব্যাটে চার-ছক্কার ফুলঝুরি। ৭৮ নট আউট করার পথে মেরেছেন ৭টা চার ও ৭টা ছয়। জশপ্রীত বুমরাই হন আর হার্দিক পান্ডিয়া— কেউই থামাতে পারেননি পন্থ-ঝড়। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে এতদিন দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি ছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির (২০) বলে। সেটা টপকে গেলেন পন্থ। ৫০ করলেন ১৮ বলে। শেষ ৬ ওভারে ৯৯ রান তুলেছে দিল্লি। যার সিংহভাগটাই পন্থের জন্য। ঋষভের ব্যাটের তাণ্ডবে হারিয়ে গেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের যাবতীয় প্রতিরোধ।
ম্যাচের সেরা দিল্লি ক্যাপিটালস তারকা বলে গেলেন, ‘‘দলের স্বার্থে যে কোনও জায়গায় ব্যাটিং করতে রাজি। আমার থেকে দল এমনই ইনিংস আশা করে।’’ যোগ করলেন, ‘‘টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটের ক্রিকেটে রান রেট বাড়ানো খুবই প্রয়োজনীয়। আমি সে ভাবেই নিজেকে চালনা করেছি।’’ পরাজিত মুম্বই অধিনায়ক রোহিত শর্মাও স্বীকার করে নেন, ঋষভের আগ্রাসী ব্যাটিং তাঁদের কাজ কঠিন করে দিয়েছিল। তিনি বলেছেন, ‘‘যে কোনও প্রতিযোগিতার প্রথম ম্যাচ খুব কঠিন হয়ে থাকে। তা ছাড়া ঋষভের বিধ্বংসী ব্যাটিং আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ নষ্ট করে দেয়।