রবিবাসরীয় সকালে হাবরার আক্রামপুরে মতুয়াদের একটি ধর্ম সম্মেলনে হাজির হন বারাসত লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদার। মতুয়া ভক্তরা তাঁকে ফুল–মালা, কুলো দিয়ে বরণ করে নেন। মতুয়া ভক্তদের সঙ্গে হরিবোল ধ্বনি দিয়ে নাচ করেন কাকলি। উলুধ্বনি দেন এবং ডঙ্কাও বাজান।
বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘বড়মা বীণাপাণি দেবী প্রয়াত হওয়ায় মতুয়া ভক্তদের পাশাপাশি আমরা তৃণমূল কর্মীরাও মর্মাহত। কারণ বড়মার সঙ্গে সমস্ত তৃণমূল কর্মীর আত্মিক সম্পর্ক ছিল। সর্বোপরি মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে বড়মার মা ও মেয়ের সম্পর্ক ছিল। সেই সূত্রে আমরা সর্বদাই মতুয়া সমাজের পাশে রয়েছি। মতুয়ারাও আমাদের সঙ্গে রয়েছেন।’
অন্যদিকে সকাল সকাল মন্দিরে পুজো দিয়ে, মসজিদে ইমামের দোয়া নিয়ে রবিবার প্রচারের কাজ শুরু করলেন বনগাঁর তৃণমূল প্রার্থী মমতা ঠাকুর। সেই সম্মেলনেই হাজির হয়ে মতুয়া ভক্তদের সঙ্গে নেচে, ডঙ্কা বাজিয়ে অভিনব প্রচার করলেন বারাসত লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদার। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে এভাবেই দুই তৃণমূল প্রার্থীর প্রচারে জমে উঠল ভোট যুদ্ধ।
ভোটের দিন ঘোষণার দু’দিনের মধ্যেই গোটা রাজ্যের সঙ্গে এই কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে মমতা ঠাকুরের নাম ঘোষণা করে দেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার অনেক আগে থেকেই বনগাঁ কেন্দ্রে কাজ শুরু করে দিয়েছিলেন তিনি। ইতিমধ্যে বড়মা বীণাপাণিদেবী প্রয়াত হওয়ায় প্রচারে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটে। বড়মার পারলৌকিক কাজ শেষ হওয়ার পরেই নতুন উদ্যমে প্রচারের কাজ শুরু করেছেন মমতা ঠাকুর। রবিবার সকালেই তিনি হাজির হন গাইঘাটার জলেশ্বর মন্দিরে। সেখানে পুজো দিয়ে পায়ে হেঁটে প্রচার শুরু করেন। পথে মন্দিরের দিকে যাওয়া মানুষের সঙ্গে হাত মেলান এবং কুশল বিনিময়ও করেন। সেখান থেকে এলাকার একটি মসজিদে যান। ইমামের সঙ্গে দেখা করে তাঁর আশীর্বাদও নেন।