ভোটের দিন যত এগোচ্ছে প্রচারের পারদ ততই বাড়চ্ছে। প্রচারে কোন খামতি নেই রাজ্যের শাসক দলের। কোচবিহার ১নং তপশিলি লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী পরেশ চন্দ্র অধিকারীর সমর্থনে দলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ দিনহাটার বাংলাদেশ সীমান্তে সাবেক ছিট করলাতে প্রচারে নামলেন। সঙ্গে ছিলেন দলের দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ, কোচবিহার জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মীর হুমায়ুন কবির, নয়ারহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মমতাজ বেগম সহ আরও অনেকে।
পরেশ জানালেন, “আমাকে দিল্লী যাওয়ার সুযোগ করে দিন। আপনাদের জন্যে আরও কাজ করতে পারব তাহলে। আপনাদের যে কোন প্রয়োজনে সবসময় পাশে থাকতে চাই।”
রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ছিটমহল সমস্যার সমাধান করেছেন। হাজার হাজার মানুষ ৬৮ বছরের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। আমরা বহু বছর ধরে ওই মানুষদের জন্য আন্দোলন করে আসছিলাম। সমস্যা সমাধানের পরও আমরা তাঁদের পাশে রয়েছি। ভোটার কার্ড থেকে শুরু করে যে কোনও ক্ষেত্রে তাঁদের যাতে কোনও সমস্যার মধ্যে পড়তে না হয়, সেদিকে নজর রাখছি।” ইতিমধ্যেই বহু ছিটমহলের মানুষ তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। অনেকেই এলাকার মিটিং, মিছিলে যোগ দিচ্ছেন।
২০১৮ সালের অক্টোবরে কোচবিহারে প্রশাসনিক বৈঠকেই সাবেক ছিটমহলবাসীদের জমির পাট্টার জন্যে অর্ডিন্যান্স জারির নির্দেশ দেন। তিনদিনেই জারি হয় তা। মেলে পাট্টাও। উচ্ছ্বাস বয়ে যায় ৫২ টি সাবেক ছিটমহলে। মমতার সৌজন্যেই বদলে যায় তাঁদের জীবন। বাসিন্দারা পায় কমিউনিটি হল, প্রাথমিক বিদ্যালয়, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, পাকা রাস্তা, নলকূপ, জলাধার। ছিটমহলের বাসিন্দারা যেমন পেয়েছেন মমতার থেকে তেমনই ভোটবাক্সে তা ফিরিয়ে দেবেন বলেই বিশ্বাস সকলের।