মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোট কাটার চেষ্টা করে আসলে মোদীর হাতই শক্ত করতে চাইছেন রাহুল। চাঁচলে শনিবার তাঁর বক্তব্যের জন্য ঠিক এই ভাষাতেই কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
শুধু ফিরহাদই নয়, গোটা তৃণমূল শিবিরই এই প্রশ্ন তুলছে যে, বাংলায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে আদতে রাহুল গান্ধী কি বিজেপি তথা নরেন্দ্র মোদীর হাত শক্ত করতে চাইছেন?
প্রসঙ্গত, রাজ্যের কৃষক, শ্রমিক বা যুবকদের জন্য মমতার সরকার কী করেছে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন রাহুল। যার প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূল ফিরহাদের মন্তব্য, ‘মনে হচ্ছে, বাংলায় এসে রাহুল এ সব বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোট কাটার চেষ্টা করে আসলে হয়তো মোদীর হাতই শক্ত করতে চাইছেন।’
রাজ্যে কৃষক, যুবক ও শ্রমিকদের স্বার্থে যে প্রভূত উন্নয়ন হয়েছে, তা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘এ রাজ্যে যে কৃষকদের আয় তিনগুণ বেড়েছে এবং বেকারত্ব ৪০% কমেছে, তা রাহুল গাঁধী জানেন না। বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের জন্য তাঁকে দেশের সেরা মুখ্যমন্ত্রী বলা হচ্ছে। এ সব না জেনে কেন এখানে এসে এ সব বলছেন রাহুল গান্ধী?’ রাজ্যের উন্নয়ন সম্পর্কে বাংলার কংগ্রেস নেতাদের কাছ থেকে রাহুল যথাযথ তথ্য পাননি বলেও কটাক্ষ করেছেন ফিরহাদ।
মাস দুয়েক আগেই মমতার ডাকে কলকাতার ব্রিগেডে বিজেপি-বিরোধী সমাবেশে কংগ্রেসের লোকসভার নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গেকে পাঠিয়েছিলেন রাহুল। সমাবেশের প্রতি সমর্থন জানিয়ে আগাম বার্তাও পাঠিয়েছিলেন তিনি। সোনিয়ার বার্তা সঙ্গে নিয়ে এসে সমাবেশে তা পাঠ করেছিলেন মল্লিকার্জুন। তাতে বিরোধী ঐক্য গঠনের ক্ষেত্রে মমতার ভূমিকার প্রশংসা করেছিলেন। মমতার বিরোধী জোটকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রয়াসকে সাধুবাদ জানিয়েছিলেন সোনিয়াও।
তারপরেও একাধিক বার বিরোধী সমাবেশে কংগ্রেস, তৃণমূল পাশাপাশি থেকেছে। ফলে হঠাতই ভোটের আগে কংগ্রেস সভাপতির এমন সুরবদলে তৃণমূল নেতৃত্বের ধারণা, আসলে মোদীরই সুবিধা করিয়ে দিতে চাইছেন রাহুল।