কলকাতা শহরের বয়স প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে। প্রায় সওয়া তিনশো বছরের পুরোনো এই শহরের সঙ্গে সঙ্গে শহর সংক্রান্ত নথিরও বয়স বেড়েছে। জরুরি জীর্ণ নথিগুলো ওষুধ দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে। কিন্তু ৩০০ বছরের ওপর শহরের এমন অনেক নথি রয়েছে যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এতটাই জীর্ণ হয়ে পড়ছে যে, সেগুলি নষ্ট হয়ে যাবার সম্ভবনা আছে। তাই এইসব জরুরি তথ্য সংরক্ষণে আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হয়েছে। বেশ কিছু তথ্য ডিজিটালাইজড করা হয়েছে। এবার তথ্য সংরক্ষণের জন্য ডেটা সেন্টার তৈরি করবে পুরসভা। নতুন আর্থিক বর্ষ থেকেই ডেটা সেন্টার তৈরির কাজ শুরু হবে।
কলকাতা পুরসভা কাজের সুবিধের জন্য দফতর ভিত্তিতে অ্যাপও এনেছে। তাই এবার কলকাতা পুরসভার প্রধান কার্যালয়ে তৈরি করা হবে এই ডেটা সেন্টার। যেখানে পুরসভার প্রতিটি বিভাগের তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। দফতর পিছু সমস্ত তথ্যের ব্যাকআপ রাখারও ব্যবস্থা থাকবে। রাজ্য সরকারের অনুমোদনের পরই শুরু হবে কাজ।
গত এক বছরে পুরসভার অনলাইন পরিষেবা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অনলাইনে সম্পত্তি কর ও লাইসেন্স খাতে আয়বৃদ্ধি পেয়েছে। সমস্ত ডেটা যদি ডিজিটালাইজড থাকে তাহলে প্রতিটি দফতরই ডেটা সেন্টারের সংগৃহীত তথ্য দেখে নিয়ে কাজ করতে পারবে। পুর সংগ্রহশালা থেকে তথ্য আসার জন্য অপেক্ষা করতে হবে না।
এ প্রসঙ্গে পুরসভার তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সন্দীপন সাহার বক্তব্য, “পুর প্রশাসন সমস্ত তথ্য সংরক্ষণের জন্য ডেটা সেন্টার তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নতুন আর্থিক বছরের কাজ শুরু হবে। এমনভাবে তথ্যসংগ্রহ করে রাখা হবে যাতে পানীয় জলের সমস্যা কিংবা অবৈধ নির্মাণ, যাতে অভিযোগ জমা পড়ার পর তথ্য যাচাইয়ের জন্য বেশি সময় নষ্ট করতে না হয়”। কাগজে নথিভুক্ত তথ্য রক্ষণাবেক্ষণ বেশ কঠিন। তাই এবার পুরসভার সমস্ত তথ্য ডেটা সেন্টারে সংরক্ষিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুর প্রশাসন।