একেবারে দোরগোড়ায় ভোট। নানা ইস্যু, ইস্তেহার, প্রতিশ্রুতি, প্রচার কৌশল নিয়ে ময়দানে নেমে পড়েছে দেশের প্রায় প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলই। কিন্তু দিকে-দিকে প্রার্থী ও গোষ্ঠীকোন্দল নিয়ে এখনও চরম বিপাকে বিজেপি। দলের নেতাদের ক্ষোভ উত্তোরত্তর বাড়ছে। বাংলার মতো আসামেও সেই একই চিত্র। আর পরিস্থিতি এমনই দাঁড়িয়েছে যে দলত্যাগ করে নেতারা নতুন বিজেপি তৈরির হুমকি পর্যন্ত দিয়েছেন।
আসামের গুরুত্বপূর্ণ তেজপুর লোকসভা আসনে বিজেপি প্রার্থী করেছে পল্লব লোচন দাসকে৷ হেভিওয়েট নেতা হলেও তাঁর প্রার্থীপদ নিয়ে বিক্ষুব্ধ একটি দলের অপর প্রভাবশালী গোষ্ঠী। আর তারই পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় বিধায়ক রামপ্রসাদ শর্মা এতটাই ক্ষুব্ধ যে, তিনি টিকিট না পেয়ে ‘নিউ বিজেপি’ তৈরির হুমকি দিয়েছেন৷ তাঁর কথায়, রাজ্যের প্রবীণ তথা কিছু অভিজ্ঞ বিজেপি নেতাদের নিয়ে এই দল গঠন করা হবে। এতে থাকছেন এমন সব নেতৃত্ব, যারা দীর্ঘদিন ধরে দলে ব্রাত্য৷
এখানেই শেষ নয়। তাঁর আরও অভিযোগ, কংগ্রেস ছেড়ে হিমন্ত বিশ্বশর্মা বিজেপিতে যোগদানের পর অনেক বিজেপি নেতাই কোণঠাসা। আমি নিজেকে চৌকিদার বলে মনে করি না। কিন্তু জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চাই৷ বস্তুত উত্তর-পূর্বে বিজেপিতে এখন হিমন্তই শেষ কথা। যা নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে দলের সব স্তরে। আবার জাতীয় নাগরিকপঞ্জি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে উত্তপ্ত পরিস্থিতির জেরে হিমন্ত প্রচুর সমালোচিতও হয়ে চলেছেন। শোনা যাচ্ছে, লোকসভায় বিজেপির টিকিটে লড়তে চান তিনি। এ নিয়ে দলের সঙ্গে তাঁর টানাপোড়েনও চলছে।