প্রথম ম্যাচ সবসময় টুর্নামেন্টের আগ্রহ বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু গতকাল আইপিএলের প্রথম ম্যাচ যেন শুরুতেই মজাটা কেড়ে নিল। প্রথম ইনিংসটার পরই মোটামুটি ম্যাচটার ভাগ্য ঠিক হয়ে গিয়েছিল। তাই মাত্র ৭০ রানের টার্গেট ১৭.৪ ওভারেই ৭১ তুলে জিতে গেল চেন্নাই।
আইপিএলে ও যে কখন কী চমক দেবে তা কেউ জানে না! যেমন শনিবার দেখাল এ বারের আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে বিরাট কোহালির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে।
ধোনির প্রথম চমকটা ছিল, চার জনের বদলে তিন জন বিদেশিকে নিয়ে মাঠে নেমে পড়া। ‘ক্যাপ্টেন কুল’ মাঠের বাইরে রেখেছিল স্যাম বিলিংস, ফ্যাফ ডুপ্লেসি, মিচেল স্যান্টনার ও ডেভিড উইলিকে। দ্বিতীয় চমকটা সাড়ে তিন জন স্পিনার—হরভজন সিংহ, রবীন্দ্র জাডেজা, ইমরান তাহির। সঙ্গে সুরেশ রায়নাকে নিয়ে মাঠে নামা৷
স্লো টার্নার পিচ হওয়ায় ধোনির দলে সাড়ে তিন জন স্পিনার রাখার বিষয় বোঝা গিয়েছিল। আরসিবি অধিনায়ক বিরাট কেন যুজবেন্দ্র চহাল, মইন আলির সঙ্গে ওয়াশিংটন সুন্দরকে ব্যবহার করল না তা বোঝা গেল না৷
যতটা না উইকেট খারাপ, তার থেকেও খারাপ আরসিবির ব্যাটিং। বিরাট একটা ম্যাচে ব্যর্থ হতে পারে। তাই বলে বাকিরা দায়িত্ব নেবে না? পাওয়ার প্লে-তে ৩০-এর মতো রান হয়েছিল। এই রকম পিচে ১১০ রানও ফাইটিং স্কোর। সেটা হলে কিন্তু চাপে পড়ত চেন্নাই। বেঙ্গালুরুর কোনও ব্যাটসম্যানই উইকেটে দাঁড়িয়ে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেনি। এবিও পারেনি। হরভজনের বলে একবার তাহির ওর ক্যাচ ফেলল। পরের বলেই আবার মারতে গিয়ে জাডেজার হাতে ক্যাচ দিল এবি। হেটমেয়ারও একই রকম ভাবে নিজের উইকেটটা উপহার দিয়ে এল৷
হরভজনের কথা আলাদা করে বলতে হবে। ও আইপিএল ছাড়া আর কিছু খেলে না। পাঞ্জাবের হয়ে রঞ্জিও নয়। সেখানে বিরাট, মইন, এবি তিনজনকে পরপর ফিরিয়ে অবাক করে দিল। ওর ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হওয়াটা আরও একবার প্রমাণ করল, ভাজ্জি দুরন্ত পেশাদার। ফিটনেস আর মোটিভেশন কতটা থাকলে, তবে এ রকম সাফল্য পাওয়া যায়। সেটাও প্রমাণ হল। ৩৮ বছর বয়সে। ওকে এই কারণেই অতুলনীয় লাগল। আসলে ধোনি বিশ্বাস রেখেছে হরভজনের উপর। ভাজ্জি নিজের দায়িত্বটা পালনও করল৷