চার ম্যাচে আঠারো গোল করে পরপর টানা পাঁচবার সাফ কাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনন্য নজির সৃষ্টি করল ভারত৷
গতবার শিলিগুড়িতে যে মেয়েরা চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন ভারতকে, তাদের পাঁচ জন ছিলেন এই দলে। গোলকিপার অদিতি চৌহান দুর্দান্ত খেলেন। বাঁচান অন্তত তিনটি নিশ্চিত গোল। দলে ছিলেন বাংলার মেয়ে সঙ্গীতা বাঁশফোরও। বলছিলেন, ‘‘আমরা চ্যাম্পিয়ন হব শপথ নিয়েই নেমেছিলাম। এ বারের জয়টা অনেক বেশি কঠিন ছিল।’’
শুক্রবার নেপালের বীরনগর থেকে ফোনে কোচ মায়মল রকি জানালেন, ‘‘কঠোর পরিশ্রম, অদম্য ইচ্ছাশক্তি এবং দলের কুড়িজনের একটা পরিবার হয়ে ওঠাই সাফল্যের আসল কারণ।’’ সংগঠক নেপালকে হারিয়ে ফের সাফ কাপ চ্যাম্পিয়ন ভারতের মেয়েরা। রাংশালা স্টেডিয়ামে কয়েক হাজার প্রতিপক্ষ সমর্থকদের তীব্র চিৎকারের মধ্যে শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলে দালিমা ছিব্বাররা জিতলেন বটে, তবে তাদের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করতে হল। একটা সময় ম্যাচ ১-১ হয়ে গিয়েছিল। ভারতের হয়ে তিনটি গোল করেন দালিমা, সঞ্জু এবং অঞ্জু। দালিমার গোল ৩০ গজ দূর থেকে দুরন্ত ফ্রি-কিকে।
ভারতের টানা জয়ের ইতিহাসের সঙ্গে এ দিন নিজেও একটা ইতিহাসে ঢুকে পড়লেন সাফ জয়ী কোচ। দেশের মেয়ে ফুটবল দলের ইতিহাসে প্রথম মেয়ে কোচ হিসাবে খেতাব জিতলেন গোয়ার মায়মল। নিজে এক সময় অ্যাথলিট ছিলেন। সেখান থেকে আসেন ফুটবলে। রাইট ব্যাক হিসাবে দেশের হয়ে খেলেছেন। পরে ‘এ’ লাইসেন্স পাস করেন বছর পঁয়ত্রিশের মায়মল। বলছিলেন, ‘‘দেশের প্রথম মেয়ে কোচ হিসাবে সফল হলাম। এই সাফল্যটা জীবনের সেরা প্রাপ্তি।’’