কংগ্রেসের সঙ্গে বামেদের আসন সমঝোতা হচ্ছে না, এমন দাবি কোনও পক্ষই করেনি। কিন্তু গতিপ্রকৃতি সেই দিকে যেতেই জোট না হওয়ার যাবতীয় দায় কংগ্রেসের ঘাড়ে চাপিয়ে দিল বামফ্রন্ট।
শনিবার কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা না হওয়ার জন্য ‘অনৈতিক লেনদেন’কে দায়ী করে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, ‘কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা ভেঙে যাওয়ার পিছনে ‘অর্থ’ কাজ করেছে। টাকার খেলা হয়েছে।’ বিমানের কথায়, ‘বিজেপি-তৃণমূলের বিরোধী ভোট এক করতে চেয়েছিলাম। শোনা যাচ্ছে, মানি ব্যাগ ঘুরে বেড়াচ্ছে সর্বত্র। মানি ব্যাগ বেশি করে দিলে, কিসের এত আলোচনা? কিসের বোঝাপড়া? টাকা টাকা, মানি ইজ হানি হলে রাজনীতিতে অসম্ভব কারবার হয়।’
গত নির্বাচনে বামেদের দখলে থাকা রায়গঞ্জ এবং মুর্শিদাবাদ আসন নিয়ে সমস্যার সূত্রপাত। রায়গঞ্জ থেকে সিপিএমের মহম্মদ সেলিম ২০১৪-র লোকসভা ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। কংগ্রেস চেয়েছিল, ওই আসনে দীপা দাসমুন্সি দাঁড়াবেন। কিন্তু তাতে রাজি হননি বামফ্রন্ট। কারণ, সমঝোতার প্রথম শর্ত ছিল, কেউ কারও জেতা আসনে প্রার্থী দেবে না। বামেরা কংগ্রেসের জেতা আসন ছেড়ে প্রাথমিক ভাবে ২৫টি আসনে প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করে। পরে মালদহ দক্ষিণ এবং বহরমপুর আসন বাদে বাকি সব আসনেই প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করে বামেরা।অন্য দিকে, কংগ্রেস মুর্শিদাবাদ এবং রায়গঞ্জ-সহ এ রাজ্যের মোট ১১টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে দেয়। তার পরেই কার্যত ধাক্কা খায় বাম-কংগ্রেস জোট। এবার সেই জোট ভাঙার পেছনে টাকার খেলাকেই দায়ী করলেন বিমান বসু।
