শুক্রবার বিকেলে ঠাকুরনগরের ‘কপিলতীর্থ’ ভবনে দলীয় নেতা, কর্মীদের নিয়ে বৈঠকে করেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সেই সভাতেই তিনি জানালেন, ফলপ্রকাশের পরে দলত্যাগীরা চোখের জল ফেলবেন।
দু–দিন পর চোখের জল ফেলতে হবে দলত্যাগীদের। ২৪ মে–র পর আবার তাঁরা তৃণমূলমুখী হবেন। শুক্রবার গাইঘাটায় এভাবেই দলত্যাগীদের কটাক্ষ করলেন জ্যোতিপ্রিয়। সভায় লোকসভা ভোটে প্রচার–সহ নানা কাজ সুষ্ঠুভাবে সমাধান করার ফর্মুলা বাতলে দেন জ্যোতিপ্রিয়। নেতাদের উদ্দেশ্যে বার বার বলা হয়, সমস্তরকম সমস্যা দূরে সরিয়ে রেখে দলের সব স্তরের কর্মীদেরকে ভোটের কাজে নামাতে হবে।
পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জ্যোতিপ্রিয় বলেন, ‘২৩ মার্চ শনিবার থেকে প্রার্থীকে নিয়ে নিয়মিতভাবে প্রচারের কাজ শুরু হচ্ছে। বিচ্ছিন্নভাবে প্রার্থীকে নিয়ে কোনও এলাকায় কোনও নেতা প্রচারের কাজ করতে পারবেন না। হাতে যা সময় আছে তাতে প্রতিটি বিধানসভা এলাকার জন্য প্রার্থী ৪ থেকে ৫ দিন প্রচারের জন্য সময় দেবেন।
তিনি আরও বলেন, ‘৭০ শতাংশ দেওয়াল লিখনের কাজ শেষ হয়ে গেছে। বাকি ৩০ শতাংশ আগামী ৫ দিনের মধ্যে শেষ করার জন্য দলীয় নেতা, কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমার বিশ্বাস, তৃণমূল এই জেলায় বিরোধীদের থেকে অনেক ভাল অবস্থানে রয়েছে। বিরোধীরা যখন প্রার্থীর নামই ঘোষণা করতে পারছে না, সেখানে আমাদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ এবং তার ২ মাস আগে থেকে নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়া হয়েছে। বিরোধীরা যত বড় প্রার্থী দাঁড় করাক না কেন, এমনকী বনগাঁ কেন্দ্রে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী দাঁড়ালেও কোনও লাভ হবে না। আমাদের প্রার্থী জিতছেনই।’
গতকাল গাইঘাটার ঠাকুরনগরে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মমতা ঠাকুরকে সঙ্গে নিয়ে লোকসভা কেন্দ্রের ৭টি বিধানসভা এলাকার দলীয় নেতা, কর্মীদের ভোট সংক্রান্ত নানা পরামর্শ দেন দলের জেলা সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। শুক্রবার বিকেলে ঠাকুরনগরের ‘কপিলতীর্থ’ ভবনে দলীয় নেতা, কর্মীদের নিয়ে বৈঠকে করেন তিনি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মমতা ঠাকুরও। উপস্থিত নেতা, কর্মীদের সম্মতিতে প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট করা হয় গোবরডাঙার তৃণমূল নেতা রাজীব দত্তকে। এদিনের সভায় ৭টি বিধানসভা এলাকার ব্লক স্তর থেকে জেলা পরিষদ স্তর পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা, কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।