মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার হাল ধরার পর থেকেই উন্নয়নের শীর্ষে উঠেছে তাঁর সাধের বাংলা। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চাকরি, শিল্প সবদিকেই উন্নয়নের রথ ধাবিত হয়েছে দ্রুত বেগে। শুধু তাই নয়, গত সাত বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে রাজ্যের অর্থনীতি ঊর্দ্ধমুখী। জিডিপি বৃদ্ধি থেকে শুরু করে রাজস্ব ঘাটতি হ্রাস– সব ক্ষেত্রেই নজির গড়েছে বাংলা।
২০১১ সালে রাজ্যের জি.ডি.পি. ছিল ৪ লক্ষ ৬১ হাজার কোটি টাকা। ২০১৮-১৯-এ রাজ্যের জি.ডি.পি. ১১ লক্ষ ৫০ হাজার কোটিতে পৌঁছচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে রাজ্যের জি.ডি.পি. বৃদ্ধির হারে ভারতের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বাংলা ১ নম্বর স্থান অধিকার করেছে। ২০১৭-১৮-এ যেখানে ভারতবর্ষের শিল্পের বৃদ্ধির হার ৫.৫৪ শতাংশ, সেখানে বাংলার শিল্পের বৃদ্ধির হার ১৬.২৯ শতাংশ -৩ গুণেরও বেশী।
২০১০-১১ সালের রাজস্ব ঘাটতি ৩.৭৫ শতাংশ থেকে নেমে, দাঁড়িয়েছে ০.৯৬ শতাংশতে। ২০১০-১১ সালের আর্থিক ঘাটতি ৪.২৪ শতাংশ থেকে নেমে ২০১৭-১৮ সালে দাঁড়িয়েছে ২.৮৩ শতাংশতে। রাজ্যের কর বাবদ আয় ২০১০-১১ সালের ২১ হাজার ১২৮ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৭-১৮ সালে ৫৭ হাজার ৭০০ কোটি টাকা হয়েছে। যা আড়াই গুণেরও বেশী বৃদ্ধি। ২০১১ সাল থেকে সরকার রাজ্য পরিকল্পনা খাতে ৩ লক্ষ ৪৫ হাজার কোটি টাকারও বেশী এবং মুলধনী খাতে ৯২ হাজার কোটি টাকা সামাজিক সম্পদ সৃষ্টি ও পরিকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে ব্যয় করেছে।
মমতার বাংলা যখন উঠেছে উন্নয়নের শীর্ষে, তখন মোদীর ব্যর্থতায় হাল খারাপ গোটা দেশের। বিগত ৫ বছর ধরে মোদীর শাসনকালে নোটবন্দী, জিএসটির মতো জনবিরোধী সিদ্ধান্তগুলির কারণে একাধিক বার ধাক্কা খেয়েছে দেশের অর্থনীতি। একদিকে যেমন বেড়েছে রান্নার গ্যাসের দাম, তেমনি বেড়েছে বেকারত্বের হারও। এ হেন ‘আচ্ছে দিন’-এর ঠেলায় একেই অতিষ্ঠ দেশবাসী। তার ওপর জানা গেলে, চলতি বছরের চেয়ে আগামী অর্থবর্ষে ভারতের অর্থনৈতিক স্বাস্থ্যের হাল খারাপ হবে। এই অর্থবর্ষেও দেশের অর্থনীতির শরীর-স্বাস্থ্য যতটা ভাল যাবে বলে আশা করা হয়েছিল, ততটা হবে না। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সমীক্ষক সংস্থা ‘ফিচ রেটিংস’ এ কথা জানিয়েছে।