‘স্পেশ্যাল অলিম্পিক ওয়ার্ল্ড সামার গেমস’ এই মাসের ১৪ তারিখে শুরু হয়েছিল আবু ধাবিতে। বিদেশের মাটিতে স্পেশ্যাল অলিম্পিকের আসর থেকে পাঁচটি পদক নিয়ে ফিরলেন বাংলার তিন কন্যা। ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা প্রায় আড়াইশো জনের দলে এ রাজ্যের বারো জন প্রতিযোগী ছিলেন। সকলেই বিশেষ মানসিক চাহিদাসম্পন্ন। তাঁদের সঙ্গে কোচ হিসেবে গিয়েছিলেন মৌসুমি রায়। মেয়েদের দলগত খেলায় ভলিতে ভারত ব্রোঞ্জ জিতেছে। ছেলেদের ভলিতে মিলেছে রুপো।
মেয়েদের ভলিবলে ভারত তৃতীয় হয়েছে। ওই দলে ছিলেন গুড়িয়া রানি, অনিতা ওঁরাও এবং লক্ষ্মী খাতুন। এরা সকলেই হাওড়ার পারবাকসির ‘চিরনবীন’ হোমের আবাসিক। হোমেই তাঁরা ভলিবল শিখেছেন। তিন জনই ২০১৭ সালে গুজরাতে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন পশ্চিমবঙ্গ দলে ছিলেন। স্পেশ্যাল অলিম্পিকের আসরে ছেলেদের ভলিতে ভারত রানার্স। ওই দলে ছিলেন হুগলির ঋত্বিক সাউ, বিশ্বজিৎ মালিক, সৌম্যদীপ গুহরায় প্রমুখেরা। ছেলেদের ফুটবলে ভারত শেষ করে পঞ্চম স্থানে।
ব্যক্তিগত ইভেন্টে দু’টো সোনা, দু’টো রুপো, একটা ব্রোঞ্জ পেয়েছে ভারত। পদক তালিকায় ভারত শীর্ষে। এ দেশের সংগ্রহে মোট ৩৬৮টি পদক। কোচ মৌসুমি জানান, সাইক্লিং ইভেন্টে সোনা জিতেছেন হুগলির জিরাটের বাসিন্দা, আঠেরো বছরের সুলতা সিকদার। সাঁতারে ২৫ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে কলকাতার শাল্মলী রায় স্বর্ণপদক পেয়েছেন। হুগলির রিষড়া পঞ্চায়েতের বামুনারির হাসি দুলের ঝুলিতে জোড়া রুপো। তাঁর কথায়, “সার্বিক ভাবে মেয়েদের পারফরম্যান্সে আমি খুশি। টেকনিক্যাল কারণে ছেলেদের একাধিক পদক হাতছাড়া হয়েছে। এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে পরের প্রতিযোগিতার জন্য ওরা নিশ্চয়ই নিজেদের ঘষেমেজে নিতে পারবে”।