কোচবিহারের মতো প্রকাশ্যে বিদ্রোহ না হলেও জন বারলাকে নিয়ে স্বস্তিতে নেই বিজেপি। তাঁকে প্রার্থী করতেই বেশ কিছু নেতিবাচক প্রশ্ন উঠে আসছে বিজেপি শিবিরে।
প্রথমত, বহিরাগত হিসাবে বারলার গ্রহণযোগ্যতা নেই আলিপুরদুয়ারে। তিনি জলপাইগুড়ির নাগরাকাটার বাসিন্দা। তাই বাইরের জেলার বারলাকে প্রার্থী করায় হতাশ আলিপুরদুয়ারের কর্মী-সমর্থকেরা। দ্বিতীয়ত, খোদ বিজেপি কর্মীরাই মনে করছেন, বারলা আদিবাসী, নেপালিদের ভোট পাবেন না। কারণ, গুরুংয়ের সঙ্গে সুর মিলিয়ে গোর্খাল্যান্ডের দাবি তুলেছিলেন তিনি। ডুয়ার্সকে আশান্ত করতে চেয়েছিলেন। বারলার সেই ভূমিকা দেখে আদিবাসী বিকাশ পরিষদ থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর তিনি সরাসরি বিজেপিতে যোগ দেন। একসময় আদিবাসী বিকাশ পরিষদের যে নেতারা তাঁর পাশে ছিলেন তাঁদেরও একটা বড় অংশ আর জনের পাশে নেই। জন বারলার হয়ে আলিপুরদুয়ারে প্রচারে নামতে নারাজ বিজেপিরই একাংশ।
এই প্রসঙ্গে কলকাতা থেকে আদিবাসী বিকাশ পরিষদের রাজ্য সভাপতি বিরসা তিরকি বলেন, ‘মেটেলি থেকে কুমারগ্রাম ডুয়ার্সের একজন আদিবাসীও ভোট দেবেন না জন বারলাকে। সে বরাবর সুবিধাবাদী রাজনীতি করে এসেছে।’ আবার চা–বলয়ে জন যে চা শ্রমিক সংগঠন করেছেন, তা নিয়ে বিজেপি–র অন্দরেই তীব্র বিতর্ক রয়েছে। জন বিজেপি স্বীকৃত চা শ্রমিক সংগঠন ভারতীয় টি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি। সংগঠনটি বিজেপি স্বীকৃত হলেও কোনও স্বীকৃত ট্রেড ইউনিয়নের আওতায় নেই। শ্রমিক মহলেও জনের ভূমিকা স্বচ্ছ নয় বলেই অভিযোগ। এদিকে, গোর্খাল্যান্ড যে আর সম্ভব নয়, তা বিজেপি–ও ভালমতোই জানে। বাংলা ভাগের প্রচার হলে বিপদ আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন অনেকে।
