হোলির পরেই লোকসভা ভোট। উত্তরপ্রদেশ-সহ নানা রাজ্যে স্থানীয় স্তরে হোলিকে কেন্দ্র করে জনসংযোগের কাজ করছেন প্রার্থীরা। কিন্তু ভোটে অন্যতম বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে পুলওয়ামা ও তার পরে পাকিস্তানের বালাকোটে অভিযান। সিআরপিএফ আগেই জানিয়েছিল, বাহিনী এ বার হোলি উদযাপন করবে না। পূর্ব প্রতিশ্রুতি মতই বসন্ত রংবিহীনই কাটল সেনাদের৷
‘আবির গুলালের গন্ধে ভরা’ হোলির শুভদিনে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। তবে পুলওয়ামার হামলার কথা মাথায় রেখেই তিনি বা রাহুলও হোলি মিলনের মতো অনুষ্ঠানে যাননি। রাজনীতিকেরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, অতীতে অনেক সময়েই বিশেষ বিশেষ সঙ্কটের সময়ে হোলি না খেলারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজনীতিকেরা। কংগ্রেসের এক নেতার কথায়, ‘‘রাজনীতির রং আর হোলির রং মেলা প্রয়োজন। নইলে শুভেচ্ছাটুকুই জানানো ভাল।’’
তবে যোগী আদিত্যনাথ যদিও নিজেকে রংবিহীন দেখতে চাননি৷ তাই সিআরপিএফ বা বাকি রাজনীতিকরা যখন হোলি থেকে দূরেই থাকলেন, যোগী মেতে উঠলেন রং খেলতে৷ উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে আরএসএস দফতরে হোলি উদ্যাপন করেন তিনি। পরে যোগ দেন গোরক্ষপুর মন্দিরের হোলি মিলন উৎসবে। মথুরায় হোলি উৎসবে যোগ দেন বিজেপি নেত্রী হেমা মালিনী।