আলিপুর আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়েছিল শুক্রবার সন্ধেবেলা কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের পাঁচ জেলায় বৃষ্টি হতে পারে। বজ্রবিদ্যুৎসহ ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সঙ্গে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়ায়ও। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি এবং দুই ২৪ পরগণায় বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছিল হাওয়া অফিস। সন্ধে নামতেই তুমুল বৃষ্টি শুরু হয়েছে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। বজ্রবিদ্যুৎসহ মুষলধারে বৃষ্টির সঙ্গে ছিল কালবৈশাখীর দাপট। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, ৬৫ থেকে ৭০ কিলোমিটার ছিল ঝড়ের গতিবেগ৷ পূর্ব বর্ধমান ও বুদবুদে বাজ পড়ে দু’জনের মৃত্যু হয়
দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতেও ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে খবর। হুগলির বেশ কিছু অংশে শিলাবৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পুরুলিয়াতে বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। হাওড়া, দুই বর্ধমান, বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়াতেও বজ্রবিদ্যুৎ সহ প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। মুষধারে বৃষ্টি এবং কালবৈশাখীর তাণ্ডবে আজ রাতের মধ্যেই এক ধাক্কায় পারদ খানিকটা নামার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। ফলে ভ্যাপসা গুমোট গরমের থেকে সাময়িক ভাবে স্বস্তি পেতে পারেন কলকাতাবাসী ৷
কালবৈশাখীর দাপটে রানাঘাট ও বনগাঁ শাখা ছাড়া, শিয়ালদহ মেন লাইনের বাকি অংশে ব্যাপক ভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে রেল পরিষেবা। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে ট্রেন চলাচল। কোথাও ছিঁড়েছে ওভারহেড তার। কোথাও বা রেললাইনে পড়েছে গাছ। বজবজ লাইনেও ওভারহেডের তার ছিঁড়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছে ট্রেন। চরম ভোগান্তির মুখে পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। বিভিন্ন স্টেশনে আটকে রয়েছেন বহু যাত্রী। ব্যান্ডেল-কাটোয়া লাইনেও ব্যাহত হয়েছে পরিষেবা।