দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি যখন প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে দিয়ে প্রচারের ঝড় তুলে দিয়েছে, তখনও গোষ্ঠীকোন্দলের কারণে প্রার্থী বাছাই নিয়ে মতবিরোধ চলছিল বিজেপির অন্দরে। অবশেষে বহু টালবাহানার পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লোকসভা নির্বাচনের জন্য বাংলার ২৮ টি আসন মিলিয়ে প্রথম দফায় দেশের মোট ১৮৪টি আসনে প্রার্থী দিয়ে উঠতে পেরেছে তারা। তবে সেই ১৮৪ জনের মধ্যে নাম নেই বিজেপির লৌহ পুরুষ লালকৃষ্ণ আদবানীর! জানা গেছে, ঝাড়াই বাছাই করার পরই নাকি বিজেপির প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ গেছে আদবানীর নাম।
এই নিয়েই বিজেপিকে এবার এক হাত নিল কংগ্রেস। বিজেপির প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর কংগ্রেসের বক্তব্য, মোদী যদি আদবানীর মতো বর্ষীয়ানদের সম্মান দিতে না পারেন তবে দেশকে সম্মান করবেন কীভাবে! গান্ধীনগর থেকে এবার অমিত শাহকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। যে আসন থেকে বরাবর দাঁড়িয়ে এসেছেন বর্ষীয়ান আদবানী। শুধু তাই নয়, এবার দাঁড়াবার জন্য আদবানীর জন্য কোন আসনই রাখেনি বিজেপি। যা আদবানীর এতো দিনের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে বেশ বড় রকমের প্রভাব ফেলল তো বটেই, ইঙ্গিতপূর্ণভাবে বোঝা যাচ্ছে রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে যবনিকা পতন ঘটতে চলেছে তাঁর।
এই বিষয়েই কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের উদ্দেশ্যে টুইটে বলেছেন, নরেন্দ্র মোদী যদি লালকৃষ্ণ আদবানীর মত বর্ষীয়ান নেতাকেই শ্রদ্ধা করতে না পারেন, তাহলে তিনি কিভাবে জনগণের ইচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবেন! কংগ্রেসের দাবি, “প্রথমে শ্রী লালকৃষ্ণ আদবানীকে ‘মার্গদর্শক মন্ডলি‘তে পাঠানো হল, আর এখন তাঁর সাংসদীয় আসনেও থাবা বসানো হচ্ছে।” সুরজেওয়ালা তাঁর টুইটের শেষাংশে এ-ও বলেন যে – ‘বিজেপি ভাগাও, দেশ বাঁচাও।’
প্রসঙ্গত, বাকি দলগুলির প্রার্থী তালিকা নিয়ে বিজেপির হুংকার ছিল, ‘ওস্তাদের মার শেষ রাতে।’ কিন্তু প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর দেখা গেল মোদী-শাহের গর্জনই সার। আসলে সব ভোঁভা। প্রার্থী তালিকায় তেমন কোনও চমকই নেই কেবলমাত্র আদবানীর নাম বাদ পড়া ছাড়া। উল্লেখ্য, সাত দফা ভোটের মধ্যে গুজরাটে ভোট হবে তৃতীয় দফায়। গুজরাটের ২৫ টি আসনের সঙ্গেই গান্ধীনগরেও নির্বাচন হবে আগামী ২৩ এপ্রিল।