বেজে উঠেছে ভোটের বাদ্যি৷ প্রার্থী তালিকাও ঘোষিত৷ শুরু হয়ে গেছে প্রচার, দেওয়াল লিখন, কর্মীসভা৷ তবে এবার বড় পরিসরের বৈঠকের পাশাপাশি কর্মীদের নিয়ে ছোট ছোট বৈঠকও গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল৷
ছোট ছোট এলাকা ভাগ করে ঘরের মধ্যে সেই এলাকার কর্মীদের নিয়ে বৈঠক শুরু হল পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের। এভাবেই একটার পর একটা লক্ষ্য বাঁধা আর তা পূরণের মাধ্যমে সংগঠনকে মজবুত করে ভোটযুদ্ধে শামিল জেলার তৃণমূল নেতারা।
এভাবে ছোট পরিসরে পরিস্থিতি বুঝে কৌশল রচনা জেলা তৃণমূল সভাপতি স্বপন দেবনাথের মস্তিষ্কপ্রসূত।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে পূর্বস্থলী উত্তর ও জামালপুর বিধানসভায় দলের ফল ভালো হয়েছে৷ সেখানে পঞ্চায়েতগুলি কতটা কাজ করেছে, মানুষের কতটা কাছে পৌঁছতে পেরেছে, সেই বিষয়গুলি পর্যালোচনা করা হচ্ছে এই ছোট সভাগুলিতে। প্রতি বুথে লিডের লক্ষ্যপূরণই উদ্দেশ্য। সেই উদ্দেশ্য পূরণের হাতিয়ার হল, বুথে বুথে যা যা উন্নয়ন হয়েছে, যারা সুবিধা পেয়েছেন, সেই তালিকা নিয়ে প্রত্যেক বাড়ি যেতে হবে। এক্ষুণি বড় সভা করার পরিকল্পনা নেই। ‘নিজের বুথে নিজে জিতুন’— এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ৫টি করে বাড়ির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এক–একজন কর্মীকে।
কালনা ১ নং ব্লক তৃণমূল সভাপতি উমাশঙ্কর সিংহরায় বলছিলেন, ‘এই ছোট ছোট সভাগুলি খুব কাজে দিচ্ছে। ভোটারদের কাছে পৌঁছনোর জন্য এর থেকে বড় কৌশল আর কিছু হতে পারে না। এই ছোট বৈঠকের ভাবনা সব জেলায় ছড়ানো হবে জানিয়ে স্বপনবাবু বললেন, ‘ছোট পরিসরের বৈঠকের সুবিধে হল সেই এলাকার হালহকিকত বিস্তারিত জানা যায়। সরকার যে অজস্র কর্মসূচি, প্রকল্প, সহায়তা চালু করেছে, সেগুলি থেকে মানুষ কতটা উপকৃত হয়েছে, তার তথ্য–পরিসংখ্যান নিয়ে ভোট–কর্মসূচি রচনা করা যাবে।’