গত ১০ মার্চ জাতীয় নির্বাচন কমিশন লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই দেশজুড়ে চালু হয়ে গেছে নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধি। আর সে কারণে রাজ্য সরকারের ‘সমব্যথী’, ‘রূপশ্রী’, ‘স্বাস্থ্যসাথী’, ‘কৃষকবন্ধু’র মতো সামাজিক প্রকল্পের আর্থিক অনুদান আটকে গেছে।
এই ‘সামাজিক প্রকল্প’গুলি যাতে লোকসভা নির্বাচনের কারণে আটকে না যায়, সে নিয়ে উদ্যোগী হয়েছিল রাজ্য। রাজ্যের তরফে নির্বাচন কমিশনে আবেদন জানানো হয়েছিল। এবার সেই জট কাটতে চলেছে। এ বিষয়ে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে পর্যালোচনা করে প্রকল্পগুলি চালু রাখা যায় কিনা, তা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে কমিশন । ইতিমধ্যে ‘সমব্যথী’ প্রকল্পে ছাড় মিলেছে বলে কমিশনের একটি সূত্র জানাচ্ছে।
উল্লেখ্য, রূপশ্রী, সমব্যথীর মতো প্রকল্পগুলিতে যাতে লোকসভা নির্বাচনের সময়ও চালু রাখা যায়, সে বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই উদ্যোগী হয়েছিলেন। সোমবার নবান্নে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘জনকল্যাণমূলক কাজে এই প্রকল্পগুলি চালু করা হয়েছে। যা থেকে জনগণ উপকৃত হবেন, তা থেকে তাদের বঞ্চিত করা উচিত নয়। আমি মনে করি, এই টাকা দেওয়া উচিত।’
অন্যদিকে, রাজ্যের তরফে জানানো হয়, ভোটের সময় ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে আলু কেনার সিদ্ধান্তে কমিশনের আপত্তি। ফলে, চাষিরা আর্থিক সমস্যার মুখে পড়ছেন। নতুন করে কৃষকদের নামও নথিভূক্ত করারও অনুমতি মিলছে না। কৃষকবন্ধুদের কাছ থেকে আলু কেনার সময়সীমা বাড়ানোর আবেদনও জানানো হয়।
খোদ মুখ্যমন্ত্রীও অভিযোগের সুরে বলেছিলেন, ‘তিন মাস ধরে নির্বাচন চলবে। যদি উন্নয়মূলক প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে অসুবিধায় পড়বেন গরিব মানুষ।’ কমিশন এবার এই বিষয়টিও খতিয়ে দেখবে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের কোনও সদস্য মারা গেলে, সৎকারের জন্যে সমব্যথী প্রকল্পে টাকা দেওয়া হয়। আর্থিক ভাবে দুর্বল পরিবারের কোনও মেয়ের বিয়ের জন্য রূপশ্রী প্রকল্পে অনুদান দেওয়া হয়। অন্য প্রকল্পগুলিতেও দ্রুত অনুমতি মিলবে বলে আশাবাদী রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তারা।