টোকিও অলিম্পিকের ৫০০ দিনও আর বাকি নেই। তার আগে জাপান অলিম্পিক কমিটির প্রধান সুনেকাজু তাকেদাকে পদত্যাগ করতে হল ঘুষ দিয়ে টোকিও অলিম্পিক কেনার অভিযোগে। ২০১৩ সালে মাদ্রিদ ও ইস্তানবুলকে হারিয়ে টোকিও অলিম্পিক আয়োজনের দায়িত্ব স্রেফ অর্থ দিয়ে পাওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ।
ফিফার মতো এ বার আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটিতেও কলঙ্কের দাগ লাগল। ফিফাতে বিশ্বকাপের আয়োজনের জন্য মোটা অর্থের লেনদেন হত। তা নিয়ে তদন্তে ফিফার প্রথম সারির কর্তারা জেলে গিয়েছেন। শেপ ব্লাটারের মতো কর্তাকে চিরনির্বাসনে পাঠানো হয়েছে। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ নিয়ে একই অভিযোগ উঠেছে। মোটা অর্থ দিয়ে বিশ্বকাপ কিনেছে কাতার।
২০০১ সাল থেকে জাপানের অলিম্পিক কমিটির প্রধান এই সুনেকাজু। চলতি বছরে জুনে তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। মঙ্গলবার আচমকা অলিম্পিক কমিটির সভায় সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেন তিনি। হতবাক সকলেই। কিন্তু নিজের পরিষ্কার ভাবমূর্তি ধরে রাখার জন্য তাঁর এই পদত্যাগ। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘আমি যা করেছি, মনে করি না, তা অন্যায়। আমার জন্য টোকিও অলিম্পিকের খারাপ ছায়া পড়বে, তা চাই না বলেই পদত্যাগ করলাম। যাতে আমার চেয়ে জুনিয়র কেউ টোকিও অলিম্পিকের হাল ধরতে পারে।’
ফরাসি তদন্ত কমিটির রিপোর্টে জাপানের অলিম্পিক কমিটির প্রধানকে দায়ী করা হয়েছে। অভিযোগ, সিঙ্গাপুরে একটি এজেন্সিকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন তিনি। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সদস্যদের ডলার দিয়ে ভোটে প্রভাবিত করতে। আফ্রিকার অধিকাংশ দেশকে ডলার দেওয়া হয়েছিল। সিঙ্গাপুরের সেই এজেন্সিকে কত ডলার দেওয়া হয়েছিল? সেই এজেন্সি কাকে কাকে ডলার দিয়েছিল? যাবতীয় রিপোর্ট ফরাসি তদন্ত কমিটির রিপোর্টে রয়েছে। অলিম্পিক পাওয়ার জন্য ২০ লক্ষ ডলার ঘুষ দেওয়া হয়েছিল সিঙ্গাপুরের এসেই এজেন্সিকে। ঘুষ বিনিময়ে জড়ালেন আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রভাবশালী প্রাক্তন কর্তা লামিন দিয়াকের ছেলে পাপা মাসান্তা দিয়াকও। সিঙ্গাপুরে যে এজেন্সিকে ২০ লক্ষ ডলার অর্থ দেওয়া হয়েছিল, সেই কোম্পানির মালিক তান তং হংয়ের ঘনিষ্ঠ এই পাপা দিয়াক।