দিন কয়েক হল রাজ্যে এসেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আর এসেই বিজেপির নির্দেশে ভোটারদের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে হুমকি দিতে শুরু করে দিয়েছে তারা। যা দেখে ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে অভিযোগও করেছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘অতি সক্রিয়তা’র অভিযোগ আসায় অবশেষে তদন্তের নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রোটোকল ভেঙে বাড়ি বাড়ি হুমকি দেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে উত্তর কলকাতার জেলা নির্বাচনী আধিকারিক দিব্যেন্দু সরকারের কাছে রিপোর্ট চাইল কমিশন। সেইসঙ্গে ভিডিও ফুটেজও জমা দিতে বলা হয়েছে। তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নোডাল অফিসারকে সতর্ক করা হবে বলে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, তৃণমূলের পক্ষ থেকে কমিশনের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে, উল্টোডাঙা-সহ কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় রুট মার্চ করার নামে কেন্দ্রীয় বাহিনী বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে। গত রবিবার দক্ষিণ কলকাতার নজরুল মঞ্চের কর্মীসভায় তৃণমূলের পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত বক্সি, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় সকলেই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তারা সকলেই বলেছেন, ‘রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেই ভোটারদের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে।’ এমন আচরণ তারা করতে পারে না। রুট মার্চ করার সময় স্থানীয় পুলিশ অফিসার বা ম্যাজিস্ট্রেটকে থাকতে হবে।
এবার তাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর অতি সক্রিয়তার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে উদ্যোগী হয়েছে কমিশন। কমিশন বলেছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রোটোকল ভেঙেছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি সত্যি তারা প্রোটোকল ভেঙে থাকে, তাহলে সতর্ক করা হবে। সেইসঙ্গে, বিজেপি’র এক নেতার মন্তব্যও খতিয়ে দেখছে কমিশন। তাঁর মন্তব্যে নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গ হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখবে কমিশন। জানা গেছে, কোন টিভি চ্যানেলে কোন নেতা কখন কী বলছেন, তাতে নজরদারি চালানোর জন্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের ছ’তলায় মিডিয়া ওয়াচ সেন্টার খোলা হয়েছে। সেখানে এক সিনিয়র অফিসার সব সময় নজর রাখছেন।