আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরেই শুরু হয়ে যাবে আইপিএল। সব দলই নেমে পড়েছে অনুশীলনে। তৈরি হয়ে গেছে ব্যাটিং অর্ডার। মঙ্গলবার আইপিএলের পুরো সূচি ঘোষণা হয়ে গেল। এর আগে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ১৭টি ম্যাচের সূচি ঘোষণা হয়েছিল। তখন লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়নি। কালই গ্রুপ লিগের সব ম্যাচের দিনই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ৫ মে শেষ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচ দিয়ে শেষ হচ্ছে গ্রুপ লিগের খেলা। যদিও প্লে অফের সূচি এখনও সরকারি ভাবে ঘোষণা হয়নি। কিন্তু যা জানা গিয়েছে, উদ্বোধনের মতো চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম বা চিপক স্টেডিয়ামে হবে আইপিএল ১২-র ফাইনাল। চেন্নাই সুপার কিংসের এক কর্তা এ বিষয়ে যুক্তি দিয়েছেন, ‘২৯ এপ্রিল চেন্নাইয়ে নির্বাচন হয়ে যাবে। ভোটের ফলও তার মধ্যে বেরোবে না। তাই ১২ মে চেন্নাইয়ে ফাইনাল হতে কোনও সমস্যা নেই।’
এই সূচি সব ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্যই বয়ে আনল সুখবর। সব টিমই তাদের হোম ম্যাচ খেলবে নিজেদের হোম গ্রাউন্ডে। অর্থাৎ কেকেআর ক্রিকেটাররা তাঁদের সব হোম ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন ইডেনে। নাইটদের বেশ কয়েকটা ম্যাচ রাঁচি, গুয়াহাটিতে সরে যেতে পারে বলে একটা হাওয়া ছিল। আসলে ভোটের জন্য এ ব্যাপারে প্রশাসনের সবুজ সঙ্কেত ছাড়া কিছু করা সম্ভব ছিল না। শেষমেশ ইডেনে সব হোম ম্যাচ পাওয়ায় কেকেআর শিবিরে খুশির হাওয়া। টিমের সিইও বেঙ্কি মাইশোর বলেছেন, ‘এটা ভীষণ ভালো ব্যাপার যে, সব টিম নিজেদের হোম গ্রাউন্ডে খেলার সুযোগ পাচ্ছে।’
বদল হচ্ছে না ম্যাচের সময়ও। অন্যান্য বছরের মতোই প্রথম ম্যাচ শুরু বিকেল চারটেয়, রাতের ম্যাচ আটটায়। দুটি ম্যাচই কিছুটা এগিয়ে নিয়ে আসতে পারে বলে জল্পনা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আগের মতোই চারটে এবং আটটায় শুরু হচ্ছে কুড়ি-বিশের যুদ্ধ। লোকসভা নির্বাচনের ফল বেরোনোর অনেক আগেই ঠিক যাবে আইপিএল ১২-র নতুন চ্যাম্পিয়ন। সব কিছু ঠিকঠাক চললে ১২ মে চেন্নাইয়ে হবে সেই ফাইনাল। যার অর্থ বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে কিছুটা সময় পাবেন ক্রিকেটাররা। ২৫ মে লন্ডনে নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের প্রথম ওয়ার্ম আপ ম্যাচ খেলবে ভারত। টিম কবে রওনা দেবে এখনও জানায়নি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। তবে ১২ মে-তেও যে ভারতীয় ক্রিকেটাররা ফাইনাল খেলবেন, তাঁরাও বিশ্রামের জন্য অন্তত এক সপ্তাহ সময় পাবেন।