ভোটের মুখে ফের ভাঙন উত্তর-পূর্ব ভারতের গেরুয়া শিবিরে। টিকিট না মেলায় আজ বুধবার অরুনাচল প্রদেশে বিজেপি ছাড়লেন দলের অন্তত ১৮ জন শীর্ষনেতা। এঁদের মধ্যে রয়েছেন, অরুণাচলে দলের সাধারণ সম্পাদক জারপুন গাম্বিন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কুমার ওয়াই এবং পর্যটনমন্ত্রী জারকার গ্যামলিন। এ ছাড়াও বিজেপি ছাড়লেন আরও ছয় বিধায়ক, যাঁরা বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীতালিকায় জায়গা পাননি। আগামী এপ্রিলে সারা দেশে লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন হবে উত্তর-পূর্বের সিকিম এবং অরুণাচল প্রদেশেও।
অরুণাচলে ছয় বিধায়ক, তিন মন্ত্রী ছাড়াও বিজেপি ছেড়েছেন দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা এবং প্রাক্তন মন্ত্রী শেরিং জুরমে। দল ছেড়ে বিদ্রোহী বিজেপি নেতারা যোগ দিয়েছেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা-র ন্যাশনাল পিপল্স পার্টিতে (এনপিপি), যারা বিজেপি শরিক হওয়া সত্ত্বেও‘একলা চলো’ নীতিতেই এই ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গোটা উত্তর-পূর্বে এখনও পর্যন্ত মোট দু’টি দলকে শরিক হিসেবে জোগাড় করতে পেরেছে বিজেপি। এমনকি নিজেদের পুরনো শরিকদের মধ্যেও বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করার প্রবণতা বেড়ে চলেছে ঠিক ভোটের আগে। সিকিম ক্রান্তিকারী মোর্চা (এসকেএম) এবং এনপিপি সেই তালিকায় নতুন সংযোজন। বিজেপি ছেড়ে আসা নেতা-মন্ত্রী-বিধায়কদের যোগদানের পর এনপিপি নেতা টমাস সাংমা জানিয়েছেন, ‘৬০ সদস্যের বিধানসভায় আমরা অন্তত ৪০টি আসনে প্রার্থী দেব। ভোটে জিতলে আমরা একাই সরকার গড়ার চেষ্টা করব’।
দলত্যাগী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কুমার ওয়াই অরুণাচল বিজেপির বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্র এবং স্বজনপোষণের অভিযোগ এনেছেন। দল ছেড়ে তিনি জানিয়েছেন, ‘বিজেপি ঠিক পথে থাকলে আমরা দল ছাড়তাম না। শীর্ষনেতৃত্ব সব সময় বলে দেশ এবং দল ব্যক্তির আগে। কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটা হয়।কংগ্রেসের বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ তোলে বিজেপি। কিন্তু অরুণাচলে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের লোকেরাই তিনটি টিকিট পেয়েছেন। তাই এই দলত্যাগ।
