প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা যখন কোমরবেঁধে নেমে ভোট প্রচারে, তখন বাংলার একটি কেন্দ্রেও প্রার্থী দিয়ে উঠতে পারেনি বিজেপি। দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণায় দেরি হওয়ায় বাংলায় পিছিয়ে থেকেই শুরু করছে বিজেপি। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে এ কথাই স্পষ্ট জানিয়ে দিল রাজ্য বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনে বাংলার দলীয় প্রার্থী তালিকা নিয়ে গতকাল বঙ্গ বিজেপির সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। রাজ্যের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের সম্ভাব্য ৪০০ জন প্রার্থীর তালিকা থেকে প্রায় ১০০টি নাম বেছে নিয়ে এদিন এখানে বঙ্গ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা সেরেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
দলের অন্দরের খবর, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের হাতেও সম্ভাব্য প্রার্থীদের নামের একটি প্রাথমিক তালিকা তুলে দিয়েছেন দলের বঙ্গ শিবিরের নেতারা। তবে সম্ভাব্য তালিকায় প্রতি কেন্দ্র থেকে অন্তত তিনটি করে নাম জমা দিয়েছেন দিলীপবাবুরা। তার মধ্যে থেকে একটি নাম চূড়ান্ত করবেন মোদি-শাহ। গতকাল নয়াদিল্লীর দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সকাল থেকেই দফায় দফায় দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা বিজেপির অন্যতম কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা, সংগঠনের দায়িত্বে থাকা সুব্রত চট্টোপাধ্যায়, বাংলার নির্বাচনী কমিটির শীর্ষ নেতা মুকুল রায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন বিজেপির অন্যতম সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, রামলাল, শিবপ্রকাশেরা।
লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে ইতিমধ্যেই ৪২টি আসনে দলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে কংগ্রেস, সিপিএমও। ইতিমধ্যেই এইসব রাজনৈতিক দল পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা ভোটের নির্বাচনী প্রচারও জোরকদমে শুরু করে দিয়েছে। এক্ষেত্রে রাজ্যে প্রতিপক্ষদের তুলনায় সবথেকে বেশি পিছিয়ে রয়েছে বিজেপিই। প্রথম পর্যায়ের ভোটের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ১৮ মার্চ থেকে। আর দ্বিতীয় পর্যায়ের ভোটের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে মঙ্গলবার থেকেই। অথচ এই দুই পর্যায়ের জন্য বাংলার দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণায় দেরি হওয়ায় সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বিজেপির জেলা নেতারাই।