লোকসভা ভোটের মুখে এবার আইনি বিপাকে পড়লেন বিজেপির গায়ক-সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। তাঁর নামে অভিযোগ, দলের প্রচারে বিজেপির গায়ক-মন্ত্রী যে গান বেঁধেছেন, তাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে বিভিন্ন কুরুচিকর কথা রয়েছে। মঙ্গলবার এই মর্মেই আসানসোল দক্ষিণ থানায় অভিযোগ দায়ের করে পশ্চিম বর্ধমান স্টুডেন্ট লাইব্রেরি কো-অর্ডিনেশন কমিটি। সেই গানের একাধিক শব্দ নিয়ে আপত্তি তুলেছিল বাংলার শাসক দল। জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশনকেও। তার ভিত্তিতেই বাবুলকে কারণ দর্শানোর নোটিস ধরাল কমিশন।
বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে সরাসরি তৃণমূলের নাম জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় সিপিএমের স্লোগানের পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিরোধীদের একাধিক মিথ্যে অভিযোগকে একত্রিত করে ব্যবহার করা হয়েছে এই গানে। তবে জানা গেছে, ওই গানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্কে একাধিক আপত্তিকর রয়েছে। অর্থাৎ সরাসরি সম্মানহানি করা হয়েছে তাঁর।
পশ্চিম বর্ধমান স্টুডেন্ট লাইব্রেরি কো-অর্ডিনেশন কমিটির তরফে দেওয়া অভিযোগ পত্রে লেখা হয়েছে, বাবুল সুপ্রিয় ২০১৯-র লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষ্যে একটি গান গেয়েছেন। সেই গান সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। গানের কথায় বেশ কিছু মিথ্যে অভিযোগ আনা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস ও দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। এই গান বিদ্বেষজনক ও হানিকর বলেও অভিযোগপত্রে লেখা হয়েছে। শুধু তাই নয়, গানের মাধ্যমে তৃণমূল ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্মানহানি করা হয়েছে।
মিডিয়া সার্টিফিকেশন ছাড়া কেন বাবুল সুপ্রিয় বিজেপির থিম সং ইউটিউবে ছেড়ে দিয়েছেন? শোকজ করে তার কারণ জানতে চাইল নির্বাচন কমিশন। এভাবে একপ্রকার নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি জানানো হয়েছে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে বাবুলকে।