বালাকোটে জইশ ঘাঁটিতে হামলার ঠিক পরদিনই অর্থাৎ ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে জারি হয়েছে এক নয়া নিষেধাজ্ঞা। পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহারে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পাকিস্তান। এই নিষেধাজ্ঞার জেরেই এখন মাথায় হাত এয়ার ইন্ডিয়ার। পাকিস্তানের আকাশপথ ব্যবহার না করার ফলে, দীর্ঘ পথ ঘুরে যেতে হচ্ছে এয়ার ইয়ার ইন্ডিয়ার বিমানগুলিকে। যার ফলে অর্থ ও সময় দুইয়েরই ব্যাপক অপচয় হচ্ছে বলে বিমান সংস্থা সূত্রে খবর। ইতিধ্যেই প্রায় ৬০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে।
পাকিস্তানের নিষেধাজ্ঞার জেরে সবচেয়ে বেশি হয়রানি হচ্ছে যাত্রীদের। ইউরোপ বা উত্তর আমেরিকায় যেতে হলে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর এবং বোয়িং ৭৭৭-২০০ এলআর বিমানে অন্তত চার ঘণ্টা সময় বেশি লাগছে। পাকিস্তানের আকাশ ব্যবহার করতে না পারার জন্য ক্ষতির মুখে ইউরোপগামী এয়ার ইন্ডিয়ার ৭৮৭-৮০০ ড্রিমলাইনার পরিষেবাও। ইউরোপের যে কোনও দেশে যেতে হলে সময় বেশি লাগছে অন্তত দু’ঘণ্টা।
এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, সমস্যাটা তৈরি হয়েছে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকাগামী উড়ানগুলোর ক্ষেত্রে। পাকিস্তানের আকাশ ব্যবহার করতে না পারার কারণে ওই পশ্চিমের দেশগুলোতে যেতে গেলে অনেকটা পথ ঘুরে যেতে হচ্ছে। তাতে সময়ও বেশি লাগছে এবং খরচও বাড়ছে। ভারত থেকে যে সব উড়ান ওয়াশিংটন, নিউ ইয়র্ক, নেওয়ার্ক এবং শিকাগো যাচ্ছে সেগুলোকে গুজরাত হয়ে আরব সাগর পেরিয়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে হচ্ছে।
সাধারণত দূরগামী বিমানগুলোর ক্ষেত্রে জ্বালানী ভরার জন্য মাঝে অন্তত একবার অবতরণের প্রয়োজন পড়ে। পাকিস্তানের আকাশ ব্যবহার করতে না পারার কারণে জ্বালানী ভরার জন্য এয়ার ইন্ডিয়ার আমেরিকা ও ইউরোপগামী বিমানগুলোকে শারজা অথবা ভিয়েনায় অবতরণ করাতে হচ্ছে। যা খুবই ব্যয়সাপেক্ষ। এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এই ধরনের প্রত্যেকটি অবতরণের জন্য গড়ে ৫০ লক্ষ টাকা করে খরচ হচ্ছে তাঁদের। পাশাপাশি বিমান সংস্থাটি এটাও জানিয়েছে, গত ১৬ মার্চ পর্যন্ত কমপক্ষে ৬০ কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে তাদের।
প্রতি দিন বাড়তি খরচের কারণে জ্বালানী ভরার জন্য ভিয়েনাতে বিমান অবতরণের সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া। আপাতত দুটি বিমান সেখানে অবতরণ করবে বলে সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। আমেরিকা ও ইউরোপগামী বাকি বিমানগুলির জ্বালানী ভরা হবে মুম্বই থেকেই।