ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান অর্জুন সিংহের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার সিদ্ধান্ত নিলেন ২২ জন তৃণমূল কাউন্সিলর। পুরসভার অচলাবস্থা কাটাতে সোমবার বিধানসভা ভবনে দলের কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সেই বৈঠকে যথারীতি গরহাজির ছিলেন অর্জুন সিং অনুগামী বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর।
এদিনের বৈঠকে হাজির ছিলেন শাসকদলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ, বিধায়ক পার্থ ভৌমিক-সহ জেলার শীর্ষ নেতারা। এমনকী, পানিহাটি, হালিশহর, নিউ বারাকপুর, কাঁচরাপাড়ার পুরসভার বেশ কয়েকজন কাউন্সিলরও বৈঠক যোগ দিয়েছিলেন।
৩৫ আসনের ভাটপাড়া পুরসভার খাতায়-কলমে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা তৃণমূলেরই। এখানে শাসকদলের কাউন্সিলর ৩৩ জন আর সিপিএমের ১ জন। কাউন্সিলরের মৃত্যুর পর আপাতত একটি আসন খালি। দিন কয়েক আগে দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন ভাটপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক অর্জুন সিং। এরপরেই ভাটপাড়া পুরসভায় চালু হয় অচলাবস্থা।
এই অচলাবস্থা কাটাতে আজ, সোমবার ভাটাপাড়ার পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলরদের বিধানসভা ভবনে বৈঠকে ডেকেছিলেন পুর ও নগরোয়ন্ননমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। জানা গিয়েছে, ৩৩ জন কাউন্সিলররের মধ্যে ২১ জনই যোগ দিয়েছিলেন বৈঠকে। সকলেই দলত্যাগী চেয়ারম্যান অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে অনাস্তা আনার প্রস্তাবে সহমত হন। আর একজন কাউন্সিলর ফোনে তৃণমূলেই থাকার কথা জানিয়েছেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, লোকসভা ভোটের পর মহকুমা শাসকের কাছে ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থার প্রস্তাবের আর্জি জানিয়ে চিঠি পাঠাবেন শাসকদলের ২২ জন কাউন্সিলর। নিয়মাফিক চিঠি দেওয়ার ১৫ দিন পর হবে ভোটাভুটি। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণেই যেসব কাউন্সিলর অনাস্তা প্রস্তাব সমর্থন করেছেন, তাঁদের প্রকাশ্যে আনেনি তৃণমূল নেতৃত্ব।
