এবার ঘটনাস্থল নেদারল্যান্ডস। আজ খানিকক্ষণ আগে উট্রেচট শহরে একটি ট্রামে হামলা চালায় আততায়ীরা। ৭ জন গুরুতর জখম এবং একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ঘটনাস্থল কড়া নিরাপত্তায় ঢেকে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে উট্রেচট পুলিশ।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এই গুলিবৃষ্টির পিছনে জড়িত রয়েছে কোনও জঙ্গি সংগঠন। গুলি চলার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখার বিশাল বাহিনী। ফার্স্ট এড পরিষেবার দেওয়ার জন্য পৌঁছেছে বিশেষ মেডিক্যাল টিম। পৌঁছেছে অ্যাম্বুল্যান্সও। গোটা এলাকা মুড়ে ফেলা হয়েছে কড়া নিরাপত্তায়। স্থানীয়রা অনেকেই জানিয়েছেন, আশেপাশে কালো মুখোশ পরা পুলিশকর্মীদের ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছে। তবে এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে জানিয়েছে উট্রেচট পুলিশ। গোটা এলাকায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে যানবাহন চলাচল।
গত শুক্রবার, ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে নির্বিচারে গুলি চালায় ব্রেন্টন ট্যারেন্ট নামে অস্ট্রেলীয় এক বন্দুকবাজ। এতে মৃত্যু হয় ৫০ জনের। গুরুতর আহত হন একাধিক মানুষ। লিনউড মসজিদে গুলি চালনার সময়ে গ্রেফতার করা হয় ব্রেন্টনকে। মনে করা হচ্ছে, শরণার্থী মুসলিমদের হত্যা করাই ছিল ব্রেন্টনের মূল লক্ষ্য। আদলতে সে নিজেই বর্ণবিদ্বেষ থেকে হামলা চালিয়েছে বলে স্বীকার করে নেয়। শুক্রবার ওই দুটি মসজিদে বন্দুকবাজের হামলার পরই ৭ ভারতীয় খোঁজ মিলছিল না। শনিবার জানা যায় নিহতদের মধ্যে রয়েছেন হায়দরাবাদের এক ব্যক্তি ও আহমেদাবাদের একজন। তবে রবিবার নিউ জিল্যান্ড পুলিশ জানিয়েছে নিহতরা হলেন মেহবুব খোকার, রামজি ভোরা, অ্যানসি আলিবাবা ও ওজির কাদির। তবে এখনও নিখোঁজ ২ ভারতীয়র কোনও খবর নেই।