সব মধ্যবিত্ত পরিবারেই ছোটবেলায় বাচ্চাদের টুকটাক গান শেখানোর পাঠ শুরু হয় আর সেখান থেকেই জন্ম হয় ভবিষ্যতের শিল্পীর। সুপর্ণা গাঙ্গুলির শুরুটাও এমনই। সুপর্ণার জন্ম এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে, রবীন্দ্রসঙ্গীতের আবহ ঘিরে ছিল পরিবারে, তাই চর্চার শুরুতেই তিনি পান শ্রী কল্লোল দাসকে। সঙ্গীতের সঙ্গে সম্পর্ক সেই ছোট থেকেই।
https://www.youtube.com/channel/UCxcCSK389arLkk3VfY0AP_Q

তখন জীবন ছিল অনেক সহজ-সরল আর তাই বিনোদনও ছিল খুব সাধারণ। সুপর্ণা জানিয়েছেন, আকাশবাণীতে সম্প্রচারিত বিভিন্ন তথ্য বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানেই খুশি হতেন তাঁরা। এই আকাশবাণীই প্রথম সুযোগ দিয়েছিল তাঁকে। আকাশবাণী সম্প্রচারিত ‘কিশলয়’-এ প্রথম শোনা যায় তাঁর কণ্ঠ।
একদিকে কাঠামোগত পড়াশোনা এবং অন্যদিকে সঙ্গীতে ডুবে থাকা- এই দুইই একসঙ্গে সামলেছেন তিনি। খ্যাতিও পেয়েছেন। পেয়েছেন একাধিক সম্মানও। ১৯৮৭ সালে সঙ্গীত ভূষণ(সিনিয়র ডিপ্লোমা পার্ট ২) ডিস্টিঙ্কশন, ১৯৮৮ সালে সঙ্গীত ভূষণ(সিনিয়র ডিপ্লোমা পার্ট ৩) ডিস্টিঙ্কশন, পেয়েছেন সঙ্গীত বিশারদ (চতুর্থ বর্ষ) ১৯৮৯ সালে, ১৯৯০ সালে সঙ্গীত ভূষণ (দ্বিতীয় বর্ষ), ১৯৯৫ সালে সঙ্গীত বিশারদ (অন্তিম বর্ষ) এরকম বহু উপাধি।
সুপর্ণা জানিয়েছেন, কঠোর অধ্যবসায় এবং পরিশ্রম ও তার সঙ্গে মনোনিবেশই তাঁকে সাফল্য এনে দিয়েছে। বিভিন্ন প্রতিযোগিতা থেকেও পুরষ্কার পেয়েছেন তিনি। রবীন্দ্র ভারতী সোসাইটি আয়োজিত এক প্রতিযোগিতা, যেখানে অংশ নেয় বহু সংখ্যক প্রতিযোগী, সেখান থেকেও প্রথম হয়েছেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সঙ্গীত অ্যাকাডেমি প্রতিযোগিতাতেও তিনি তৃতীয় স্থান দখল করেন। ২০০২ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলাতে স্নাতকোত্তর শেষ করার পর থেকে সম্পূর্ণ ডুবে যান সঙ্গীতের চর্চায়, সঙ্গীতের সৃষ্টিতে।