দিন কয়েক আগেই উত্তরপ্রদেশের তরুণ দলিত নেতা তথা ভীম আর্মির সুপ্রিমো চন্দ্রশেখর আজাদ ওরফে রাবণ জানিয়েছেন, এবার বারাণসী থেকে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হবেন তিনি। আর এবার কাশ্মীরের এক আন্দোলন কর্মীও ঘোষণা করলেন মোদীর বিরুদ্ধে এই কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা। ২০১৪ সালে ভোট বয়কটের প্রচার চালিয়েছিলেন সাজাদ নুরাবাদী। তিনিই এ বার লড়তে চান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে।
৩০ বছরের সাজাদের বাড়ি দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগামে। বাকি সব বিরোধী দলের সমর্থনও আশা করছেন তিনি। মোদীকে চ্যালেঞ্জ করে সাজাদ বলেছেন, ‘গণতন্ত্রে মানুষই শেষ কথা বলেন। এ বার তা বুঝবেন নরেন্দ্র মোদী।’ তাঁর অভিযোগ, ‘নরেন্দ্র মোদী ভারতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং কাশ্মীরীদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছেন।’ তাই কাশ্মীরীদের জীবনে শান্তি ফিরিয়ে আনাই তাঁর এই নির্বাচনে লড়ার মূল কারণ বলে জানিয়েছেন সাজাদ।
উল্লেখ্য, বছর তিরিশের সাজিদ ২০১৪ সালে ভোট বয়কট প্রচার চালিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, ১৫ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতেও ছিলেন তিনি। সংবাদ সংস্থাকে নিজেই সে কথা জানিয়েছেন তিনি। তা হলে ভোটে নিজেই দাঁড়ালেন কেন? এর উত্তরে সাজাদের জবাব, কাশ্মীর সমস্যার দ্রুত সমাধান চাই। কারণ বিচ্ছিন্নতাবাদী কোনও পার্টিও তাঁর কথা শোনেনি। তাই সিস্টেমে প্রবেশ করেই সিস্টেম বদলে দিতে চান তিনি।
তিনি এ-ও জানিয়েছেন যে, জীবনে মাত্র একবারই বারাণসীতে গিয়েছেন তিনি। তাও আবার ছাত্রাবস্থায়, বন্ধুদের সঙ্গে। তবুও বারাণসীর ভোটাররা তাঁকে ভোট দেবেন, এমনটাই দাবি করেছেন সাজাদ। দেশের সর্বত্রই আক্রান্ত কাশ্মীরীরা, এ কথা উল্লেখ করে সাজাদ বলেন, ‘আমরা কাশ্মীরী। আমরা কেউ সন্ত্রাসবাদী নই, সারা দেশের মানুষদের কাছেও এই বার্তা পৌঁছনো প্রয়োজন। কাশ্মীরীদের ভিনগ্রহী প্রাণী হিসেবে দেখা বন্ধ হোক।’
জানা গেছে, ইতিমধ্যেই নিজের পার্টি তৈরি করেছেন তিনি। তবে তা এখনও সরকারের খাতায় নথিভুক্ত নয়। তেহরিক-ই-ইনসাফ নামের এই পার্টিতে উপত্যকায় কয়েকজন সমাজকর্মীও যোগ দিয়েছেন। তবে তাঁর দলের নাম সরকারের খাতায় না ওঠায় বারাণসী থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য বিভিন্ন দলের কাছে দরবার করছেন সাজাদ। কেউ টিকিট না দিলে নির্দল প্রার্থী হিসেবেই নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে লড়াই করবেন বলে জানিয়েছেন উপত্যকায় দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে সামাজিক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকা এই তরুণ।