হরিদ্বারে আমিষ খাবার পরিবেশন করার অভিযোগ তুলে নোটিস পাঠানো হল ফুড ডেলিভারি অ্যাপ সুইগি ও জোম্যাটোকে। উত্তরাখণ্ড রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা বিভাগের তরফে ওই নোটিসে, হরিদ্বার পুরনিগমের বিধি ভাঙার অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় সুইগির তরফে জানানো হয়েছে, নিষিদ্ধ এলাকায় আমিষ খাবার পরিবেশন করায় তারা আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। এই অভিযোগ পেয়ে যথাযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছে বলে দাবি করেছেন তাঁরা। এক সুইগি-কর্তা বলেন, “১৬ মার্চ থেকে হরিদ্বারে সম্পূর্ণ নিরামিষ খাবার পরিবেশন নিশ্চিত করেছি আমরা”।
হরিদ্বার পুরোপুরি নিরামিষ খাবারের জায়গা। সেখানে শুধু নিরামিষ খাবারই খাওয়া হবে, এই নিয়ম ভেঙে সুইগি ও জোমাটো স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাবাবেগে আঘাত করেছে বলে জানিয়েছেন হরিদ্বারের ডেপুটি খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক আরএস পাল। ওই আধিকারিক আরও বলেন, “হরিদ্বারের নানা জায়গায় আমিষ খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে বলে স্থানীয় ম্যজিস্ট্রেটের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন শহরের বেশ কিছু বাসিন্দা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে নেমে ওই দুই সংস্থার কাছে আমিষ খাবার পরিবেশনের বিশেষ অনুমতি দেখতে চান ম্যাজিস্ট্রেট। কিন্তু তারা তা দেখাতে পারেনি। আমিষ খাবার পরিবেশনের জন্য পুরসভা থেকে অনুমতিও নেয়নি তারা”। আইন ভেঙে আমিষ খাবার পরিবেশনের কারণ দর্শানোর জন্য জোমাটো ও সুইগিকে সাত দিন সময় দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এই ঘটনায় জোম্যাটোর তরফে এক মুখপাত্র বলেছেন, “নির্বিঘ্নে ব্যবসা চালানোর জন্য আমরা গত কয়েক বছর ধরেই খাদ্য সুরক্ষা দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। পবিত্র এই শহরের ধর্মীয় ভাবাবেগকে আমরা সমর্থন করি। স্থানীয় প্রশাসনের যাবতীয় নির্দেশ আমরা মেনে চলব”।