অবশেষে শনিবার সকালে বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা নিজের দেশের দিকে রওনা হলেন। এক অপ্রত্যাশিত, ভয়ানক মুহুর্ত কাটিয়ে ফিরলেন তাঁরা। নিউজিল্যান্ডের সময় সাড়ে আটটা নাগাদ হোটেলের লবিতে জড়ো হতে শুরু করেছিলেন তাঁরা। যখন এক এক করে ক্রিকেটারেরা লবিতে এসে দাঁড়াচ্ছিলেন, তখনও তাঁদের চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট।
লবিতে নামার পনেরো মিনিটের মধ্যেই বাংলাদেশ ক্রিকেট দল হোটেল ছেড়ে বেরিয়ে পড়ল বিমানবন্দরের দিকে। মোট চারটি পুলিশের গাড়ি এসেছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু শুক্রবার মসজিদে হত্যালীলার পরের দিন নজিরবিহীন নিরাপত্তার ছবি দেখা গেল নিউজিল্যান্ডে। স্নিফার ডগ্স নিয়ে উপস্থিত ছিলেন নিরাপত্তা অফিসারেরা। চার গাড়ি ভর্তি সশস্ত্র পুলিশ। বাংলাদেশ টিমের বাসকে এসকর্ট করে তাঁরাই নিয়ে গেলেন বিমানবন্দরে। উড়ান ধরার আগে বাংলাদেশের তারকা ওপেনিং ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল বলে গেলেন, ‘‘মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে আমাদের যে অভিজ্ঞতা হল, সেই আতঙ্ক কাটিয়ে বেরিয়ে আসতে সময় লাগবে। আমরা যে তাড়াতাড়ি করে ফিরে যেতে পারছি, সেটাই ভাল। কারণ সকলের পরিবার উদ্বিগ্ন হয়ে অপেক্ষা করছে।’’
শুক্রবার মসজিদের ভিতরে যখন আক্রমণকারী হত্যালীলা চালাচ্ছিল তখন বাসে করে ১৭ জন বাংলাদেশের ক্রিকেটার সেখানে নামাজ পড়ার জন্য উপস্থিত হন। ভাগ্যক্রমে যখন বন্দুকবাজের হামলা চলছে তখন তারা মসজিদে ঢোকেননি। বাসের মধ্যে বসেই তাঁরা দেখেন, গুলিতে রক্তাক্ত কয়েক জন মসজিদ থেকে বেরিয়ে আসছেন। কয়েক জনের মৃতদেহ সামনে পড়ে রয়েছে। বাসের মধ্যে বসে থাকা নিরাপদ না-ও হতে পারে ভেবে দ্রুত বাস থেকে নেমে হ্যাগলি পার্ক ধরে মাঠে ফিরে আসেন।
তামিমরা যখন শুক্রবার বাসে করে মসজিদে গিয়েছিলেন, তখনও তাঁদের সঙ্গে কোনও নিরাপত্তা কর্মী ছিলেন না। চলতি সিরিজে সত্যিই সে ভাবে কোনও নিরাপত্তার ব্যবস্থা চোখে পড়েনি। বাংলাদেশ বোর্ড তাই জানিয়েছে, ভবিষ্যতে বিদেশ সফরে গেলে আগে ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চায় তারা।