সমঝোতা হয়নি। তাই ত্রিপুরার বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধেই লড়তে চলেছে উপজাতি সংগঠন তথা জোট শরিক আইপিএফটি। গত বিধানসভা নির্বাচনে এই জোট টানা দু-দশকের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছে৷ কিন্তু আগামী লোকসভা ভোটে যুযুধান দুই পক্ষ লড়বে একে অপরের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, জোট শরিক আইপিএফটি-কে একটিও আসন ছাড়তে নারাজ ছিল বিজেপি৷ কিন্তু পূর্ব ত্রিপুরা আসনটি পেতে মরিয়া ছিল বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনটি৷ তাদের দাবি, পৃথক তুইপ্রাল্যান্ড৷ এই দাবিকে সামনে রেখেই লোকসভা নির্বাচনে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিয়েছে আইপিএফটি৷ আসন বণ্টন নিয়ে দু পক্ষ অনড় থাকায় পরিস্থিতি জটিল হয়৷ উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মার সঙ্গে আলোচনাতেও জট কাটেনি৷ এতে বেড়েছে শরিকি ফাটল৷
সূত্রের খবর, সদ্য রাজ্যে ক্ষমতায় আসা এই জোট লোকসভায় যাতে একসঙ্গে লড়াই করতে পারে তার জন্য চেষ্টা চালিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব৷ কিন্তু উপজাতি নেতৃত্ব নিজেদের অবস্থান পাল্টাতে চাননি৷ এই অবস্থায় দিল্লীতে গিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক হয় ত্রিপুরা রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের৷ আইপিএফটি’র সঙ্গে ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়েছে৷ মনে করা হচ্ছে লোকসভা নির্বাচনের পরেই এই জোটের ফাটল আরও বাড়বে৷ সেক্ষেত্রে সরকার ছেড়ে বেরিয়ে আসতে পারে আইপিএফটি৷