বিগত দু’বছরে উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে উল্কার মতো উঠে এসেছেন তরুণ দলিত নেতা চন্দ্রশেখর আজাদ। সেইসঙ্গে দলিত সম্প্রদায়ের যুবশক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে তাঁর দল ভীম আর্মি। জানা গেছে, এবার বারাণসী থেকে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হচ্ছেন ভীম আর্মির সুপ্রিমো।
প্রসঙ্গত, এতদিন ভীম আর্মিকে অরাজনৈতিক সাংস্কৃতিক সংগঠন হিসাবে দাবি করতেন চন্দ্রশেখর। কিন্তু সম্প্রতি মীরাটে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকের পরই তিনি ঘোষণা করেন বারাণসী থেকে প্রার্থী হতে চান। বৃহস্পতিবার দিল্লীর যন্তরমন্তরের সভা থেকে তিনি ঘোষণা করেছেন যে বারাণসীতে তিনি প্রার্থী হবেন। আর তৎক্ষণাৎ রীতিমতো জল্পনা শুরু হয়ে যায় তাহলে কি তিনিই হবেন জোটপ্রার্থী?
যেহেতু তিনি প্রার্থী হতে চলেছেন ঠিক প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সঙ্গে তাঁর আলোচনার পরই, এবং প্রিয়াঙ্কা আজাদকে জানিয়েছেন, দলিত স্বার্থরক্ষার লড়াইয়ে কংগ্রেসের সমর্থন আছে। তাই ধরে নেওয়াই যায় তাঁর বিরুদ্ধে কংগ্রেস প্রার্থী নাও দিতে পারে। বহুজন সমাজ পার্টি ও সমাজবাদী পার্টির জোট প্রার্থী অন্য কেউ হবেন নাকি এই প্রার্থীর জন্য ওই জোটও নিজেদের প্রার্থী না দিয়ে লড়াইটা একের বিরুদ্ধে এক করবে সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। বিশেষ করে মায়াবতী কখনওই রাজি হবেন না ভীম আর্মিকে জায়গা ছেড়ে দিতে।
চন্দ্রশেখর আজাদের এই সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে বড় রাজনৈতিক কৌশলের অঙ্গ। কারণ তাঁর হারানোর কিছু নেই। ভীম আর্মি এখন দলিতদের যুব সম্প্রদায়ের কাছে অন্যতম আকর্ষণীয় প্ল্যাটফর্ম। যুব সম্প্রদায়ের কাছে দেখা যাচ্ছে মায়াবতীর তুলনায় ভীম আর্মির জনপ্রিয়তা বেশি। আর সেই কারণেই মায়াবতী ভীম আর্মি তথা এই দলের প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ ওরফে রাবণের সঙ্গে কোনও সমঝোতায় নারাজ।
কিন্তু মায়াবতী ও সমাজবাদী পার্টির প্রার্থীর তুলনায় সম্ভবত চন্দ্রশেখর আজাদ অনেক বেশি শক্তিশালী মুখ হবেন যুব সম্প্রদায়ের কাছে। আর সেক্ষেত্রে কংগ্রেসের পাশাপাশি আম আদমি পার্টিও যদি প্রার্থী না দেয় তাহলে সরাসরি লড়াই হবে আজাদ বনাম মোদীর মধ্যে। যেটা গত লোকসভা ভোটে হয়েছিল মোদী বনাম কেজরিওয়াল। যদিও এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে নরেন্দ্র মোদীর নাম বারাণসী কেন্দ্র থেকে ঘোষিত হয়নি। তবে তা আগামী সপ্তাহের মধ্যেই ঘোষণা হয়ে যাবে বলে বিজেপি সূত্রের খবর।