দিন কয়েক আগেই দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জানিয়ে দিয়েছেন ভোটে জিততে কোনও নীতি-আদর্শের তোয়াক্কা করবেন না তাঁরা। সেই মতো রাজনৈতিক সৌহার্দ্যতা ও যাবতীয় নীতি-আদর্শকে জলাঞ্জলি দিয়েই ভোটযুদ্ধ নেমে পড়েছে বিজেপি। বাংলায় নিজেদের জমি শক্ত করতে তৃণমূল-সহ অন্যান্য সব দল থেকে ঘাড়ধাক্কা খাওয়া বা বহিষ্কৃত নেতাদের দলে নেওয়ার হিড়িকও পড়ে গেছে। এমনকি অন্য দল ভাঙিয়ে কিছু ‘গদ্দার’ নেতাকেও লোকসভায় প্রার্থী করার টোপ দিয়ে তাঁদের দলে টানা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে যে নেতারা দীর্ঘদিন ধরে দলের কাজ করে গেলেন, তাঁরা কী আদৌ প্রার্থী হতে পারবেন? চিন্তায় স্বয়ং সেই নেতারাই।
অন্যদিকে, শাহ আগে থেকেই সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘নতুন-পুরনো নয়, যার জেতার সম্ভাবনা থাকবে, তাকেই প্রার্থী করা হবে।’ কিন্তু সূত্রের খবর, তৃণমূল থেকে আসা সৌমিত্র খাঁ, অনুপম হাজরা ও অর্জুন সিংকে প্রার্থী করতে চলেছে বিজেপি। বিষ্ণুপুর থেকে সৌমিত্র ও বোলপুরে অনুপমকে প্রার্থী করা হতে পারে। আর ব্যারাকপুরের প্রার্থী হতে পারেন অর্জুন সিং। দক্ষিণ মালদার প্রার্থী করা হতে পারে খগেন মূর্মূকে। এমন পরিস্থিতিতে ওই সব কেন্দ্রে দলের সাধারণ সম্পাদকরা যে ভোটের টিকিট পাবেন না, তা ধরেই নেওয়া যায়। সে নিয়ে তাঁদের অনেকের মধ্যেই উষ্মা দেখা গেছে।
ইতিমধ্যেই দলের অন্দরে এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, সারা বছর যাঁরা কাজ করে, তাঁরা টিকিট কেন পাবে না? অন্য দল থেকে আসা নেতাদের ভিড়ে পুরনো কর্মীদের মধ্যে তৈরি হওয়া এই অসন্তোষই এখন ভাবাচ্ছে বিজেপি নেতৃত্বকে। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি যাই বলুক না কেন, নতুনদের ভিড়ে কোণঠাসা হওয়া পুরনোরা যে ভোটের মুখে বেঁকে বসতে পারেন, এই সম্ভাবনাকে একেবারেই উড়িয়ে দিতে পারছেন না দিলীপ ঘোষ-সহ গেরুয়া শিবিরের অন্যান্য রাজ্যনেতারা।