যোগীর আমলে বন্দীদের জীবন নরকে পরিণত হয়েছে। মানা হচ্ছে না নূন্যতম মানবধিকার আইনও। গত পাঁচ বছরে উত্তরপ্রদেশের জেলে ১৮০০-এর বেশী বন্দীর মৃত্যু হয়েছে। প্রবীন আইনজীবী কেসি জৈনের দায়ের দায়ের করা আরটিআই-এর ভিত্তিতে চমকে ওঠার মতো এই তথ্য সামনে এসেছে।
জানা গেছে, উত্তর প্রদেশে সবচেয়ে বেশী সংখ্যক বন্দীর মৃত্যু হয়েছে বরেলির জেলে, ১১৯ জনের। এরপরেই রয়েছে ফতেহপুর জেল। সেখানে গত পাঁচ বছরে ১১৩ জন বন্দীর মৃত্যু হয়েছে।
আরটিআই থেকে আরও জানা যাচ্ছে, উত্তর প্রদেশের সমস্ত কারাগারেরই অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। এক একটি জেলে যতজন থাকতে পারে, কোথাও তার দ্বিগুণ কোথাও পাঁচ গুন বন্দী ঠাসাঠাসি করে ঢোকানো। নূন্যতম বহু সুযোগ সুবিধাই তাঁরা সেখানে পান না বলে অভিযোগ। জেল হাসপাতালে চিকিৎসক, ফার্মাসিস্ট, ল্যাব এবং এক্স রে টেকনিশিয়ানের পোস্ট খালি পড়ে রয়েছে।
জৈন বলেন, ‘কারাগারের উদ্দেশ্য হল বন্দীদের মানসিকতার পরিবর্তন ঘটিয়ে তাঁদের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনা। যাতে তাঁরা আর অপরাধের পথে পা না বাড়ায়। কিন্তু এই জেলগুলির যা দশা তাতে বন্দীদের প্রাণ বাঁচানোই দায়’। তবে কারাগারের খারাপ অবস্থার কথা মানতে নারাজ উত্তর প্রদেশের ইন্সপেক্টর জেনারেল অফ প্রিজন ছন্দা প্রকাশ। তিনি বলেন, ‘অসুস্থতা ও বয়সজনিত কারণেই এই মৃত্যু। এতে অস্বাভাবিকতা নেই’। জেলের পরিকাঠামো ও বন্দীদের সুযোগ সুবিধা বাড়ানো হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
