লোকসভা ভোটের মুখে এবার দুর্নীতির অভিযোগ উঠল কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি ইরানির বিরুদ্ধে। তাঁর সাংসদ উন্নয়ন তহবিলের টাকা বিলি নিয়েই দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। ক্যাগের অডিট রিপোর্টকে হাতিয়ার করেই কংগ্রেস নেতা শক্তি সিং গোহেল এবং কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা স্মৃতির বিরুদ্ধে এফআইআর করার দাবি তুলেছেন। সেইসঙ্গে দুর্নীতির দায়ে মোদী সরকারের মন্ত্রীসভা থেকে স্মৃতির ইস্তফার দাবিও জানাল কংগ্রেস।
ক্যাগের অডিট রিপোর্টের মাধ্যমে স্মৃতি ইরানির এই দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে বলে দাবী কংগ্রেসের। তাদের বক্তব্য, স্মৃতি ইরানি রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে সাংসদ উন্নয়ন প্রকল্পে কোনও টেন্ডার ছাড়াই প্রকল্পের বরাত পাইয়ে দেন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে। বক্তব্যের সপক্ষে তারা ২০১৭ সালের মার্চ মাসে শেষ হওয়া আর্থিক বছরের ওপর ক্যাগ রিপোর্টের কথা তুলে ধরেন।
ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, কোনও টেন্ডার না ডেকেই ২৩২টি প্রকল্পের কাজের জন্য সারদা মজুর কামদার কোঅপারেটিভ সোসাইটি নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে ৫ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকার বরাত দেওয়া হয়। তার মধ্যে ৮৪ লক্ষ ৫৩ হাজার টাকা জালিয়াতি করে তোলা হয়েছে। এমনকি রিপোর্টে স্মৃতির ওই সিদ্ধান্তকে ‘অবিবেচনাপ্রসূত’ বলে মন্তব্য করা হয়েছে। রিপোর্টেই পরিষ্কার বলা আছে, কোনও টেন্ডার ছাড়াই ওই সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়েছিল।
শুধু তাই নয়, ক্যাগ ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার করা সমস্ত কাজ তদন্ত করে দেখার সুপারিশ করেছিল বিজেপি শাসিত গুজরাট সরকারের কাছে। কিন্তু গুজরাট সরকারের পক্ষ থেকে কোনও উত্তর আসেনি ক্যাগের এই সুপারিশের। এ প্রসঙ্গে শক্তি সিং গোহেল বলেন, ‘মোদীজি বলেন, না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা। বাস্তব হল, স্মৃতি ইরানি সাংসদ হওয়ার পর একটি গ্রাম দত্তক নিয়েছিলেন। তবে এখন আর ওই গ্রামকে কেউ দত্তক নেন না। কারণ গ্রামের উন্নয়নে বরাদ্দ টাকা তাঁরা সাবাড় করে দিয়েছেন।’
আর কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে ক্যাগের তথ্য উল্লেখ করে লেখেন, ‘স্মৃতি ইরানীকে বরখাস্ত করার সময় এসে গেছে। দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ও ভারতীয় দন্ডবিধির অধীনে এই ঘটনার সঠিক তদন্তের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার দাবি জানাচ্ছি। প্রয়োজনে কংগ্রেস আদালতে যাবে। এটি সরকারি দফতর ও জনগণের টাকা অপব্যবহারের মামলা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অবিলম্বে স্মৃতি ইরানীকে বরখাস্ত করা এবং ওঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া উচিত।’