শুরুর আগেই খারাপ খবর নাইট শিবিরে। গতবারও অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী টিমের সদস্য কমলেশ নাগরকোটিকে পায়নি কেকেআর এবারেও চোটের জন্যে তিনি থাকবেন না। নিলামে ৩.২ কোটিতে তাঁকে নিয়েছিল কেকেআর। সেই জায়গাতে কেরলের পেসার সন্দীপ ওয়ারিয়রকে টিমে নিয়ে নিল নাইটরা। বুধবার টিমের সঙ্গে প্র্যাক্টিসে যোগ দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার তাঁকে টিমে নেওয়ার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। রঞ্জিতে এ বার বেশ ভালো বল করেছেন সন্দীপ।
নজরে থাকবেন সন্দীপ ওয়ারিয়র। এটাই তাঁর প্রথম আইপিএল নয়। এর আগে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু টিমেও ছিলেন। কিন্তু একটা ম্যাচও খেলেননি। নিলামে কোনও টিম নেয়নি তাঁকে। মাত্র ২০ লাখ টাকা বেস প্রাইস হওয়ার পরেও। যদিও ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ ভালো ফর্মে ছিলেন। ১০ ম্যাচে নিয়েছেন ৪৪ উইকেট। কেরালাকে প্রথমবারের জন্য রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালে তোলার ব্যাপারেও অবদান ছিল সন্দীপের। সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টিতেও ভালো ফর্মে ছিলেন। ৬ ম্যাচে নিয়েছেন ৮ উইকেট। অন্ধ্রর বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিকও করেছেন।
বৃহস্পতিবার কেকেআরের সহকারী কোচ সাইমন কাটিচের গলায় শুবমান গিলের প্রশংসা। বলে গেলেন, ‘শুবমান খুব তাড়াতাড়ি ভারতীয় টিমে নিজের জায়গা পাকা করে নেবে। এ বারের আইপিএল ওর জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে।’ পাশাপাশি, ফিনিশার হিসেবে দীনেশ কার্তিক যে অসাধারণ ভূমিকা নিতে পারেন, সেটাও মনে করিয়ে দিচ্ছেন কাটিচ, ‘চাপের মুখে কার্তিক বারবার নিজেকে প্রমাণ করেছে। আমাদের হয়ে, দেশের হয়েও। এই আইপিএলেও নিশ্চয়ই সেই কাজটাই করবে। আমার তো মনে হয় বিশ্বকাপের টিম বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বড় পরীক্ষায় পড়ে যাবেন ভারতের নির্বাচকরা। প্রচুর প্রতিভাবান ক্রিকেটার রয়েছে। যাদের মধ্যে থেকে টিম বেছে নেওয়া খুবই কঠিন”। আর এক নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটার শিবম মাভিকেও এ বার পাচ্ছে না কেকেআর। তিনিও অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী টিমের সদস্য ছিলেন। তাঁরও পিঠে চোট রয়েছে।