আসন্ন লোকসভা ভোটে বীরভূম কেন্দ্র থেকে এবারেও প্রার্থী হয়েছেন অভিনেত্রী শতাব্দী রায়। বরাবরই যে কোনও শুভকাজ শুরুর আগে তারাপীঠে পুজো দেন তিনি। এবারেও ব্যতিক্রম হল না। গতকাল তারাপীঠে পুজো দিয়েই প্রচারে শুরু করছেন শতাব্দী। তারামায়ের আশীর্বাদ নিয়েই ভোটযুদ্ধে নামতে চলেছেন তিনি।
বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে এই টানা ৩ বার তৃণমূলের প্রার্থী হলেন শতাব্দী। তাঁর কেন্দ্রে প্রতিপক্ষ হিসাবে অমিতাভ বচ্চন দাঁড়ালেও নিজের জয়ে আত্ম বিশ্বাসী তিনি। পুজো শেষে মজার ছলে এই কথাই জানালেন তিনি। পুজো দেওয়ার পরে সাংবাদিকদের জানান, শুধু রাস্তাঘাটের উন্নয়ন নয়, ঘরে ঘরে প্রতিটি মানুষ যে ভাবে উপকার পেয়েছেন, তা তাঁরা মনে রাখবেন। সে জন্যেই তাঁর পাশে থাকবেন তাঁরা সকলে। শতাব্দীর মন্তব্য, ‘‘জিতবো তো নিশ্চয়ই। এ বারের ভোটে আমার লিড আরও বাড়বে।’’
শতাব্দী জানালেন, “গত ১০ বছরে আমি বীরভূমের গ্রামেগঞ্জে ঘুরেছি। পরপর তিনবার আমার ওপর ভরসা রাখার জন্যে আমি মমতাদির ওপর কৃতজ্ঞ। মমতাদির হাত ধরেই কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, রুপশ্রী, কৃষকবন্ধু ইত্যাদি একের পর এক প্রকল্পে উপকৃত হয়েছেন বাংলার মানুষ। মানুষ এই সব নিশ্চয়ই মনে রাখবেন”।
অনুব্রত মণ্ডল ইতিমধ্যেই জানিয়ে রেখেছেন, বীরভূমে দল সাত লক্ষেরও বেশি ভোটে জিতবে। তিনি আরো জানিয়েছেন, “দিদির প্রার্থী আমাদের সকলের প্রার্থী। তাঁকে বিপুল ভোটে জয়ী করার জন্যে আমরা সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ব”।
তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দেওয়ার পরে এ দিন রামপুরহাট ২ ব্লকে দলের ন’টি অঞ্চল সভাপতির সঙ্গে বৈঠক করেন বীরভূম কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী। তাঁদের সঙ্গে নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনার পরে তিনি ফুলিডাঙা মাজারে যান। তার পরে রামপুরহাট ১ ব্লকের তুম্বনি গ্রামে স্বাধীনতা সংগ্রামী মুকুন্দবিহারী সাহার প্রয়াণ দিবসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শামিল হন।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে ১০৫টি পঞ্চায়েত এলাকা রয়েছে। এর আগে দু’টি লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে ওই সব পঞ্চায়েত এলাকার প্রতিটি গ্রামে ঘুরে প্রচার চালিয়েছেন শতাব্দী। তাঁর ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, এ বারেও ওই সূচির ব্যতিক্রম হবে না। শতাব্দী নিজেও জানিয়েছেন, বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডলের নেতৃত্বে দক্ষ সংগঠন রয়েছেই। তিনি নিজেও প্রতিটি এলাকায় ঘুরে প্রচার করেন।